‘রহিমা অপহরণের ঘটনা নাটক’, মেয়েদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ
নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২৩-০২-১৩ ১৬:০৪:২৫
রহিমা বেগমকে অপহরণের কোনো প্রমাণ পায়নি মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই। জমি সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মরিয়ম মান্নানের নেতৃত্বে অপহরণের নাটক সাজানো হয়। সে কারণে তদন্ত প্রতিবেদনে রহিমা বেগম, তার মেয়ে মরিয়ম মান্নান এবং আরেক মেয়ে ও মামলার বাদী আদুরি আক্তারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
এছাড়া ইতোপূর্বে অপহরণ মামলায় যে ৫ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল তারা এ ঘটনায় নির্দোষ। তাদেরকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে।
সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে পিবিআই খুলনার পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান পিবিআই কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।এদিন সকালে মহানগর হাকিম আদালতে এই প্রতিবেদন দাখিল করে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার বলেন, তদন্তে রহিমা বেগমকে অপহরণের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বরং জমি সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মরিয়ম মান্নানের নেতৃত্বে অপহরণের নাটক সাজানোর প্রমাণ মিলেছে। সে কারণে তদন্ত প্রতিবেদনে রহিমা বেগম, তার মেয়ে মরিয়ম মান্নান এবং আরেক মেয়ে ও মামলার বাদী আদুরি আক্তারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া ইতোপূর্বে অপহরণ মামলায় যে ৫ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল তারা এ ঘটনায় নির্দোষ। তাদেরকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে।
পিবিআই জানায়, গত ২৭ আগস্ট রাতে খুলনা নগরীর মহেশ্বরপাশা এলাকার বাড়ি থেকে রহিমা বেগম রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন। তাকে অপহরণের অভিযোগ তুলে পরদিন মেয়ে আদুরি আক্তার দৌলতপুর থানায় মামলা করেন। ২৪ সেপ্টেম্বর খুলনার দৌলতপুর থানা পুলিশ ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারি উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের আবদুল কুদ্দুসের বাড়ি থেকে স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে থাকা রহিমা বেগমকে উদ্ধার করে।
আই এইচ