হেরে গেলেন মাশরাফি

প্রকাশ: ২০১৬-০৪-২২ ১৫:৫৮:০৯


mashrafe-bin-mortaza20160422085636ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে লেগ স্পিনার জুবায়ের হোসেন লিখনের ঘূর্ণিতে কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের বিপক্ষে সহজ জয় পেয়েছে আবাহনী লিমিটেড। শুরু থেকে দাপট দেখিয়ে সাত উইকেটের জয় ছিনিয়ে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী দলটি। ফলে প্রথম দিনই তামিম ইকবালের কাছে হারতে হলো বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার।

প্রিমিয়ার লিগে এবার শুরুতেই আলোচনায় ছিল আবাহনী। তামিম, সাকিব, তাসকিন, লিটন, জুবায়েরদের সঙ্গে সৈকত, শান্তদের মত তরুণদের নিয়ে দুর্দান্ত দল গড়েছে তারা। মাঠেও তার প্রমাণ রাখলো দলটি। কলাবাগানের দেওয়া ১৪০ রানের লক্ষ্য ২৮.৩ ওভারেই উতরে যায় তারা।

তবে সহজ লক্ষ্য হলেও শুরুটা ভালো হয়নি আবাহনীর। দলীয় ১১ রানেই অধিনায়ক তামিম ইকবালকে হারায় তারা। এরপর দলীয় ৩৩ রানে লিটন দাসকে হারিয়ে কিছুটা চাপে পরে তারা। তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ভারতীয় ব্যাটসম্যান উদয় কাউলকে নিয়ে সে চাপ সামলে নেন অভিষেক মিত্র।

দলীয় ৮৫ রানে অভিষেক (৩২) আউট হলে নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে বাকি কাজ শেষ করেন কাউল। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন এ ভারতীয়। আর শান্ত ৩৫ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন। কলাবাগানের পক্ষে দেওয়ান সাব্বির ও নিহাদুজ্জামান ১টি করে উইকেট পান।

এর আগে শুক্রবার ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামে কলাবাগান। ব্যাটিংয়ে নেমে কোন রান তোলার আগেই সাদমান ইসলামকে হারিয়ে চাপে পড়ে তারা। এরপর দলীয় ৩৭ রানে জসিম উদ্দিনকে হারিয়ে সে চাপ আরও বৃদ্ধি হয়। তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে জিম্বাবুইয়ান হেমিল্টন মাসাকাদজাকে নিয়ে দলের হাল ধরেন তাসামুল। কিন্তু এরপর জুবায়ের হোসেনের  ঘূর্ণিতে পরে বড় স্কোরের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় কলাবাগানের।

দলীয় ৭৮ রানে মাসাকাদজাকে আউট করার পর একে একে মেহরাব হোসেন জুনিয়র, শরিফুল্লাহ, তানভীর হায়দার, আব্দুর রাজ্জাক ও নিহাদুজ্জামানকে ফেরান তিনি। মাত্র ৩৪ রানের বিনিময়ে ক্যারিয়ার সেরা ছয় উইকেট তুলে নেন এ স্পিনার। তার ছয় উইকেটের চারটি উইকেটই আসে গুগলি থেকে। কলাবাগানের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন মাসাকাদজা। এছাড়া তাসামুল করেন ৩৭ রান। ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হয়েছেন আবাহনীর জুবায়ের হোসেন লিখন।

সানবিডি/ঢাকা/আহো