‘শুধু জয়ের ফেসবুক স্ট্যাটাসের কারণে শফিক রেহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে’
প্রকাশ: ২০১৬-০৪-২৩ ১৪:৫৩:৪২
কোন সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে নয়, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ফেসবুক স্ট্যাটাসের উপর ভিত্তি করে সাংবাদিক শফিক রেহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, মার্কিন আদালতে জয়কে অপহরণ ও হত্যার অভিযোগ আমলে না নিলেও শুধু মাত্র জয়ের ফেসবুক স্ট্যাটাসের উপর ভিত্তি করে শফিক রেহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার ফেসবুকের স্ট্যাটাসের কারণে গোপনে মামলা হলে শফিক রেহমানকে গ্রেফতার এবং আমার দেশ ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র করছে। এছাড়াও বিএনপি নেতারা জড়িত বলে আওয়ামী লীগের নেতারা প্রচার করছে। এটা অমানবিক ও নিপীড়নমূলক।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ চক্রান্তের মামলায় শফিক রেহমানকে দুই দফায় ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
জয় সম্পর্কিত তথ্য পাওয়ার জন্য এক এফবিআই এজেন্টকে ঘুষ দেওয়ার অপরাধে ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী জাসাস নেতা মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনের ছেলে রিজভী আহমেদ সিজারের কারাদণ্ড হয়। মার্কিন আদালতে প্রসিকিউশনের নথিতে বলা হয়, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ছেলেকে ‘অপহরণ, ভয় দেখানো ও ক্ষতি করাই’ ছিল তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্য। সিজার কিছু তথ্য বাংলাদেশি ‘একজন সাংবাদিককে’ সরবরাহ করেছিলেন এবং বিনিময়ে প্রায় ৩০ হাজার ডলার’ও পেয়েছিলেন বলেও সেখানে উল্লখ করা হয়। ওই ঘটনাটি নিয়ে ২০১৫ সালের ৩১ মে ঢাকার পল্টন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে পুলিশ, যা পরে মামলায় রূপান্তরিত হয়। ওই মামলাতেই গত ১৬ এপ্রিল শফিক রেহমানকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. ওসমান ফারুক, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব, সহ-দফতর বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি প্রমুখ।