নীলফামারীতে বিএনপির মঞ্চ দখল করল ছাত্রলীগ
জেলা প্রতিনিধি প্রকাশ: ২০২৩-০২-২৫ ১৬:৩৬:৩৬
নীলফামারীতে ১০ দফা দাবিতে বিএনপি আয়োজিত পদযাত্রা কর্মসূচির মঞ্চ দখলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, জেলা পৌর সুপার মার্কেটের সামনে বিএনপি-জায়ামাত জোটের নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে শান্তি সমাবেশের আয়োজন করে জেলা আওয়ামী লীগ। একই স্থানের বিপরীত পাশে পদযাত্রার মঞ্চ তৈরি করে বিএনপি। দুই দলের এমন পাল্টা কর্মসূচি ঘিরে শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
দুই দলের একই স্থানে কর্মসূচি ঘিরে সকাল থেকে পৌর সুপার মার্কেট এলাকার অবস্থা ছিল থমথমে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কর্মসূচিকে সফল করতে শহরের বড় বাজার থেকে শান্তিপূর্ণভাবে বিএনপির নেতাকর্মীরা একটি র্যালি বের করলে সেখানেই পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। পরে সেখান থেকে র্যালিটি ছত্রভঙ্গ হয়ে সমাবেশে মিলিত হয়। পরে দুপুর ১২টার দিকে বিএনপির নেতাকর্মীরা স্লোগান দিলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এগিয়ে আসে। তারা বিএনপির নেতাকর্মীদের ধাওয়া দিয়ে মঞ্চ দখল করে স্লোগান দিতে থাকেন।
জেলা বিএনপির সভাপতি আ ক ম আলমগীর সরকার বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করছিলাম। হঠাৎ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে মঞ্চ দখল করে আনন্দ-উল্লাস করে। এছাড়াও আমাদের কর্মসূচির ব্যানার ছিঁড়ে অর্ধশত নেতাকর্মীকে আহত করে। এ সময় পুলিশ নীরবে দাঁড়িয়ে ছিল। তারা শুধু বিএনপিকে বাঁধা দিতে পারে, কিন্তু আওয়ামী লীগকে পারে না। এ ঘটনার আমরা নিন্দা জানাচ্ছি।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল হক বলেন, তারা আমাদের কর্মসূচির সময় এসে দেশবিরোধী স্লোগান দেয় এবং দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে গালিগালাজ করে। এতে বাধা দেই মাত্র। আর কিছুই না এখানে। তাদের কোনো কিছু ভাঙচুর হয়নি, সব আছে সেখানে। আমাদের কর্মসূচি শেষে চাইলে তারা তাদের অনুষ্ঠান করতে পারে।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মনিরুল শাহ আপেল বলেন, আমরা ছাত্রলীগ শান্তি চাই। আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বিশ্বাসী। কিন্তু কর্মসূচির নামে তারা দেশবিরোধী স্লোগান দিচ্ছিল ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে খারাপ মন্তব্য করছিল। আমরা তাদের ওপর হামলা করিনি, তাদের সরিয়ে দিয়েছি। যাতে বিএনপি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে।
নীলফামারীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দুই দলের কর্মসূচিকে ঘিরে আমাদের পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।
আই এইচ