কক্সবাজার উপকুলে নিহতদের শ্বেতপত্র দীর্ঘ দুই যুগেও প্রকাশ হয়নি

প্রকাশ: ২০১৬-০৪-২৮ ২১:৫৮:৫৭


coxsbazar pict 28.04.2016ভয়াল ২৯ এপ্রিল। ১৯৯১ সালের এই দিনে প্রলংকরী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে কক্সবাজার জেলার বেশির ভাগ উপকুলীয় এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রাণ হারান প্রায় এক লাখ ৩৮ হাজার ৮৮২ মানুষ। হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি সাধিত হয়। উপকুলে নিহতদের শ্বেতপত্র প্রকাশ ও জাতীয় শোক দিবস ঘোষণার দাবী দীর্ঘ দুই যুগেও বাস্তবায়ন হয়নি।

প্রতি বছর ঘুরে ভয়াল ২৯ এপ্রিল আসলেই স্বজন হারানোদের কান্নার রুল পড়ে যায় উপকুল থেকে উপকুলে। ১৯৯১ সালের ২৯এপ্রিল কক্সবাজার সদর, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, রামু, চকরিয়া, পেকুয়া উখিয়া ও টেকনাফের উপকুল দিয়ে বয়ে চলা সেই বিস্মৃতির কথা ভুলেনি উপকুলের লাখ লাখ মানুষ। সেই রাক্ষুসে দরিয়া অনেক মানুষের সুখ, স্বপ্ন ও সোনার সংসার ভেঙ্গে চারকার করে দেয়। তবে এদিন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় কুতুবদিয়া, মহেশখালী ও কক্সবাজার সদর উপজেলায়।

এদিকে, ২৯ এপ্রিল কে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা ও নিহতদের শ্বেত পত্র প্রকাশের দাবী নিয়ে ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবে গোলটেবিল বৈঠক, সংবাদ সম্মেলণ, স্মরণ সভাসহ বিভিন্ন আন্দোলন ও নানান কমসুচি পালন করে আসছে ২৯ এপ্রিল স্মৃতি পরিষদ ।

প্রলয়ংকরী ঘুর্ণিূঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে উদ্ধাস্তু হয়ে কুতুবদিয়া উপকুল থেকে আসা কক্সবাজার পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এসআই আকতার কামাল বলেন, আমাদের মতো আরো হাজার হাজার পরিবার কুতুবদিয়া দ্বীপে ঘরবাড়ি, সহায় সম্বল হারিয়ে শহরতলির সমিতিপাায় উদ্ধাস্তু হয়ে এসেছি। ২৯ এপ্রিল আসলে আমরা এখনো আতকে উঠি সেই দিনের ভয়াবহতার দৃশ্য নিয়ে।
তিনি বলেন, উদ্ধাস্তু হয়ে আসা শহরের সমিতিপাড়া, কুতুবদিয়াপাড়া, নাজিরার টেক এলাকার হাজার হাজার মানুষকে সরকারী ভাবে পুর্নবাসন করা হোক।

২৯ এপ্রিল স্মৃতি পরিষদ সভাপতি মোঃ ইয়াহিয়া খাঁন কুতুবী বলেন, ২৯ এপ্রিল আমরা হাজার হাজার স্বজন হারিয়েছে। ঘরবাড়ি ছাড়া হয়েছে উদ্বাস্তু হয়েছি। এদিন উপকুল দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রলয়ংকরি ঘুর্ণিঝড়ে নিহতদের স্মরণী করে রাখার জন্য ২৯ এপ্রিলকে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণার দাবী জানিয়ে আসছি। এছাড়া ওই দিন নিহতদের একটি শ্বেতপত্র প্রকাশেরও জোর দাবী দীর্ঘদিনের। কিন্তু প্রায় ২৫ বছর পর্যন্ত এটির কোন উদ্যোগ সরকারী ভাবে নেয়া হয়নি।

তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, এতো বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিশ্বে কোন দেশে হয়নি। এতো মানুষও প্রাণ হারাননি। তাই এইদিনকে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করার জন্য সরকারী ভাবে উদ্যোগ নেয়া হোক।

তিনি বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ২৯ এপ্রিল নিহতদের স্মরণে শোকসভা , স্মৃতিচারণ, শোক র‌্যালি ও মিলাদ মাহফিল আয়োজন করেছে।

সানবিডি/ঢাকা/আহো