‘পুঁজিবাজার উন্নয়নে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে’

আপডেট: ২০১৬-০৫-০৯ ১৮:১৮:৫০


দেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়ন করতে হলে তালিকাভুক্ত কোম্পানি, মার্চেন্ট ব্যাংক, ব্রোকার হাউজ, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সুশাসন শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোকে একত্রে কাজ করতে হবে। তা না হলে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে আসবে না।

মেঘনা ব্যাংকের সিইও নূরল আমিন। ছবি সংগৃহীত

আজ সোমবার বেসরকারি মেঘনা ব্যাংকের ৩য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূরল আমিন এসব কথা বলেন।

নূরল আমিন বলেন, বর্তমানে পুঁজিবাজারে একটি মন্দা অবস্থা বিরাজ করছে। এ কারণে নতুন প্রজন্মের ব্যাংকগুলো বাজারে আসতে সাহস পাচ্ছে না। পুঁজিবাজারে শতভাগ সুশাসন নিশ্চিত করা গেলে এটি মানুষের বিনিয়োগের বিকল্প হতে পারবে।

আগামী জুলাই মাস থেকে বেসরকারি মেঘনা ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যাংকির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূরল আমিন।

অনুষ্ঠানে নতুন অনুমোদন পাওয়া ব্যাংকগুলোর মধ্যে মেঘনা ব্যাংক প্রথম মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করতে যাচ্ছে বল জানান তিনি।

নূরল আমিন বলেন, বর্তমানে দেশের সাগ্রিক মানি মার্কেটের প্রায় ৭৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করছে বেসরকারি মালিকানাধীন ব্যাংকগুলো। যেটি দেশের অর্থনীতির শক্ত অবস্থানকে নির্দেশ করে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, দেশের প্রবৃদ্ধি হচ্ছে ঠিক, তবে ব্যক্তি মানুষসহ দেশের সামগ্রীক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে না।

এক প্রশ্নের জবাবে মেঘনা ব্যাংকের এই কর্ণধার বলেন, ব্যাংকিং খাতে আমানতের সুদ ও ঋণের সুদ নিয়ে বেশ কথা হয়। বিশেষ করে ব্যবসায়ীরা কিভাবে কম সুদে ঋণ নেবে সে বিষয়ে নানা ধরনের চাপ সৃষ্টি করে। নানা জায়গায় লবিং করে। কিন্তু যাদের টাকায় তারা ব্যবসা করতে চায়; সে আমানতকারীদের কথা কেউ ভাবে না। সাধারণ গ্রাহকদের পক্ষে কথা বলার যেন কেউ নেই। অথচ এই আমানতকারীরাই হলো- ব্লাড অব দ্যা ব্যাংক।

তিনি বলেন, গ্রাহকরা যাতে তাদের আমানতের সঠিক প্রতিদান পায় সে ব্যাপারে তার ব্যাংক সবসময় আন্তরিক। মেঘনা ব্যাংক বর্তমানে আমানতকারীদের সর্বোচ্চ সাড়ে ৬ থেকে ৭ শতাংশ পর্যন্ত সুদ প্রদান করছে বলেও জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রতিক করিম, সিনিয়র এক্সিকিউটিভি ভাইস প্রেসিডেন্ট এ এফ সাব্বির আহমেদ, মোহাম্মদ ইমদাদুল ইসলাম প্রমুখ।

সানবিডি/ঢাকা/মেহেদী