বাবার মৃত্যুতেই বদলেছে বিরাটের জীবন

প্রকাশ: ২০১৬-০৫-১০ ২১:৩৮:১৩


image (1)ক্রিকেটই যে তাঁর জীবনের ভাল-মন্দের সঙ্গী। অনেক খারাপ সময় থেকে তাঁকে মুক্তি দিয়েছে এই ক্রিকেটই। এটা তাঁর উপলব্ধী যাঁর ব্যাট প্রতিমুহূর্তে কথা বলছে। চমকে দিচ্ছে বিশ্ব ক্রিকেটকে। যাঁকে নিয়ে জল্পনার শেষ নেই। সেই বিরাট কোহালি তাঁর জীবনের এক অভিজ্ঞতা থেকে একদিন বুঝতে পেরেছিলেন ক্রিকেটই তাঁর জীবনের শেষ কথা।

তখন তাঁর বয়স সবে ১৮। হঠাৎই একটা ঘটনা তাঁকে বড় করে দিয়েছিল। বিরাট কোহালির বাবাই ছিলেন তাঁর ক্রিকেটের অনুপ্রেরণা। কিন্তু ৫৪ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় কোহালির বাবার। সেটা ২০০৬ সাল। আকাশ ভেঙে পড়েছিল পুরো পরিবারের মাথায়। কর্ণাটকের বিরুদ্ধে তখন রঞ্জি ট্রফি খেলছিলেন বিরাট। সেই দিন ৪০ রান করে অপরাজিত ছিলেন। খেলে বাড়ি ফিরে বাবাকে হারিয়েছিলেন। সবাই ভেবেছিল এই ম্যাচ আর খেলা হবে না বিরাটের। কিন্তু পর দিন সকালে উঠে কোচকে ফোন করে ১৮ বছরের বিরাট বলেছিলেন, ‘‘আমি খেলব’’। সেদিন ব্যাট হাতে ৯০ রানে থেমেছিলেন বিরাট। দিল্লিকে ফলো-অন থেকে বাঁচিয়েছিল সেই ৯০ রান।

তাই হয়তো বিরাটের কাছে একটা সেঞ্চুরির থেকে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ কঠিন পরিস্থিতিতে ম্যাচ জেতানো ৭৫ বা ৮০ রান। যা কোহালির রানের তালিকায় একাধিক রয়েছে। কোহালি বলেন, ‘‘আমার এখনও সেই রাতের কথা স্পষ্ট মনে আছে যে রাতে বাবাকে হারিয়েছিলাম। আমার জীবনের সব থেকে কঠিন সময় ছিল সেটা। কিন্তু পর দিন সকালে উঠে নিজের ভিতর থেকেই এল খেলতে হবে।’’ তার পরই কোচকে ফোন করা। বলেন, ‘‘আমি কোচকে ফোন করেছিলাম। আমি বললাম আমি খেলতে চাই। কারণ, আমার জন্য ক্রিকেট ম্যাচকে মাঝ পথে ছেড়ে দেওয়াটা অন্যায়। ঠিক সেই সময় অনেকটা বদলে গেলাম। আমাকে মানুষ হিসেবে বদলে দিয়েছিল সেই সময়টা। বুঝতে পারলাম ক্রিকেট আমার জীবনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ।’’

সানবিডি/ঢাকা/আহো