জামায়াত নিষিদ্ধের এখনই উপযুক্ত সময়

প্রকাশ: ২০১৬-০৫-১২ ১৮:৪৭:০৪


Emranআলবদর প্রধান মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ডের রায় কার্যকরের পর যুদ্ধাপরাধী সংগঠন জামায়াতের ডাকা হরতাল প্রত্যাখ্যান করে শাহবাগে অবস্থান এবং হরতালবিরোধী মিছিল করেছে গণজাগরণ মঞ্চ।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে শাহবাগে অবস্থান নেয় গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা। জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের দাবি এবং হরতালবিরোধী নানা স্লোগানের মাধ্যমে অবস্থান কর্মসূচি চলে।

কর্মসূচির এক পর্যায়ে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার বলেন, ‘সকল আদালতে সন্দেহাতীতভাবে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার পর একাত্তরের ঘাতক মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ডের রায় কার্যকর করা হয়েছে। একাত্তরে কুখ্যাত ছাত্রসংঘের সভাপতি এবং ঘাতক আলবদর বাহিনীর প্রধান নিজামীর মৃত্যুদণ্ডের মধ্য দিয়ে জামায়াতের এদেশে কোনোরকম রাজনৈতিক কার্যক্রম চালানোর অধিকার চূড়ান্তভাবে শেষ হয়ে গেছে।’

তিনি বলেন, ‘যে সংগঠনের সভাপতির মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে, আমরা মনে করি সে সংগঠনের রাজনীতি করার কোনো অধিকার থাকতে পারে না। জামায়াত নিষিদ্ধের এখনই উপযুক্ত সময়। তাই আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই, আর কালক্ষেপণ না করে অবিলম্বে যুদ্ধাপরাধী সংগঠন জামায়াত ও শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হোক।’

ইমরান বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের ১ কোটি গণস্বাক্ষর সংসদে জমা দিয়েছি। ২০১৩ সালে গণস্বাক্ষর জমা দেয়ার পর সংসদ পরিষ্কারভাবে জানিয়েছিলেন, জামায়াত নিষিদ্ধ করা হবে। এরপর তিন বছর সময় অতিবাহিত হলেও এখনো জামায়াত নিষিদ্ধের কোনো অগ্রগতি নেই।’

জামায়াত নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধী মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর তার ছেলে এবং জামায়াতে ইসলামী আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বলেছে, জঙ্গিবাদী কার্যক্রমের মাধ্যমে তারা বাংলাদেশকে একটি জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত করবে। এটা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্য পরিষ্কার হুমকি। তাই এদেরকে আর কোনো ষড়যন্ত্রের সুযোগ না দিয়ে অবিলম্বে নিষিদ্ধ করুন।’

ইমরান এইচ সরকার বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধী নিজামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর পাকিস্তানে মাতম শুরু হয়েছে। পাকিস্তানিদের মাতমই প্রমাণ করে, যুদ্ধাপরাধের বিচারে বাংলাদেশ সরকারের সিদ্ধান্ত একদম সঠিক ছিল। নিজামীরা একাত্তরে পাকিস্তানের পক্ষে এদেশে নির্মম গণহত্যা চালিয়েছে, এটা পাকিস্তানের কান্নাকাটিই প্রমাণ করে।’

তিনি বলেন, ‘আমি সরকারকে বলবো, শুধু ব্যক্তি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নয়, যুদ্ধাপরাধী সংগঠনের বিচারও শুরু করুন। জামায়াতের আর্থিক যোগানদাতা সংগঠনগুলোর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে এদেশে জঙ্গিবাদের বিস্তার বন্ধ করুন।’

অবস্থান কর্মসূচি থেকে একটি হরতালবিরোধী মিছিল বেলা ১২টায় শাহবাগ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ঘুরে আবার শাহবাগে ফিরে আসে।