পুলিশের যৌন লালসার গোপন কাহিনী!
প্রকাশ: ২০১৬-০৫-১৫ ১৮:০২:১৩
এবার প্রকাশ হয়ে পড়েছে পুলিশের যৌন লালসার গোপন কাহিনী। একটি অপ্রাপ্ত বয়স্ক টিনেজ মেয়ের সঙ্গে বেশ কিছু পুলিশ সদস্য গোপন অভিসার চালিয়েছে। এ খবর প্রকাশ হয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে চারদিকে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া পুলিশ ডিপার্টমেন্টে। ক্যালিফোর্নিয়ার ঘটনা হলেও তা আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। সব মিডিয়ায়ই এ খবর ফলাও করে প্রকাশ করা হচ্ছে।-মানবজমিন।
এর কারণ, যারা আইনের রক্ষক তারাই যখন ভক্ষকে পরিণত হয় তখন তা তো সংবাদ শিরোনাম হবেই। এ অভিযোগের তদন্ত চলছে এখন। অকল্যান্ড পুলিশ ডিপার্টমেন্টের ভিতরে এ নিয়ে আভ্যন্তরীণ তদন্ত চলছে। সেখানকার সেলেস্তে গুয়াপ নামের ওই টিনেহের বয়স যখন ১৬ বছর তখন তাকে শয্যাসঙ্গী করেছে এক ডজনেরও বেশি পুলিশ সদস্য। সেলেস্তে গুয়াপের এখন বয়স ১৮ বা ১৯ বছর।
তিনি এখন ওই সম্পর্কের পুরোটাই প্রকাশ করে দিয়েছেন তার ফেসবুক একাউন্টে। ওই সম্পর্ককে তিনি ক্ষতিকর বর্ণনা করলেও এতে কাউকে আঘাত করে কোন কথা বলেন নি। ফেসবুকে তিনি এই সপ্তাহে পুলিশ সদস্য ব্রেনডান ও’ব্রায়েন (৩০)কে উদ্দেশ্য করে তিনি লিখেছেন, আমার অপ্রাপ্ত বয়সে আমাকে নিয়ে শয্যায় ফুর্তি করা একজন কর্মকর্তা দুঃখজনকভাবে বিদায় নিয়েছেন। তাই আমি বুঝি না বিষয়টি কেন আবার সামনে চলে এসেছে।
উল্লেখ্য, গত বছর স্ত্রীর মৃত্যুর পর আত্মহত্যা করেন ওই পুলিশ সদস্য। আত্মহত্যার আগে তিনি একটি নোট লিখে গেছেন। তার ওপর ভিত্তি করে তদন্ত শুরু হয়েছে। ইস্ট বে এক্সপ্রেসের রিপোর্ট অনুযায়ী, ও’ব্রায়েনের স্ত্রী ইরমা হুয়ের্টা লোপেজ ২০১৪ সালের জুনে মারা যান। আত্মহত্যা বিষয়ক গোয়েন্দারা তার মৃত্যু নিয়ে তদন্ত করেন।
লোপেজের পরিবার মনে করে, তাকে গুলি করেছে ও’ব্রায়েন। সংবাদপত্রে বলা হয়েছে লোপেজের মৃত্যু সন্দেহজনক। এরই এক পর্যায়ে ২০১৫ সালের ২৫শে সেপ্টেম্বর আত্মহত্যা করেন ও’ব্রায়েন। তারপরও তার বিরুদ্ধে যৌন সম্পর্কের অভিযোগ তদন্ত শুরু হয়। সূত্র বলেছে, তার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক শুরু হয় ২০১৪ সালে।
এ বিষয়ে তদন্তকারীরা যথাযথ মনোযোগ দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। এরই সূত্র ধরে পুলিশের অনেকগুলো কর্মকর্তারা বিরুদ্ধে গুয়াপের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগের তদন্ত করার নির্দেশ দেন ফেডারেল একজন বিচারক। এখন পর্যন্ত তাদের মধ্যে একজন পুলিশ সদস্য গুয়াপ অপ্রাপ্ত বয়স্ক থাকা অবস্থায় তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের কথা স্বীকার করেছেন। ওই পুলিশ সদস্যের নাম প্রকাশ করা হয় নি। তার বিরুদ্ধে এখন ধর্ষণের অভিযোগ আনা হচ্ছে। পুলিশের মুখপাত্র জোয়ানা ওয়াটসন বলেছেন, এখন তদন্ত চলছে পুলিশের তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস