‘রিজার্ভ চুরিতে দায়ী সুইফট’
আপডেট: ২০১৬-০৫-১৫ ১৮:৩৪:২১
নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় সুইফট দায়ী। এমনটিই বলেছেন সরকার গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন।
তিনি বলেছেন, সুইফট আরটিজিএফের সঙ্গে সংযোগ দেওয়ার ফলে এটি ঘটেছে। সুইফট নিজেই তাদের সার্ভার ২৪ ঘণ্টা চালু রাখার ব্যবস্থা করেছিল। এতে এই অর্থ চুরি হয়ে গেছে।
রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে ড. ফরাসউদ্দিন এ কথা বলেন। প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তিনি এ কথা বলেন।
ড. ফরাসউদ্দিন বলেন, দুটি দেশের হ্যাকাররা রিজার্ভ চুরির জন্য বিশেষ একটি ম্যালওয়্যার তৈরি করে। এর মাধ্যমে এই অর্থ চুরি করা সম্ভব হয়।
তিনি আরো বলেন, ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক এ ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল আচরণ করেনি। কারণ ৩৫টি অর্ডারের মধ্যে পাঁচটি অর্ডার কার্যকর করা হয়। এ পেমেন্টে দেবে কি না, তা জানতে বাংলাদেশ ব্যাংকে বার্তা প্রেরণ করে ফেডারেল ব্যাংক। অথচ ফিরতি মেসেজ না পেয়েই পেমেন্ট কার্যকর করা হয়। তাই তাদেরও দায় এড়ানোর সুযোগ নেই।
পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তাদের অসতর্কতা, অসাবধানতা, অজ্ঞতা ও দায়িত্বহীনতা ছিল বলে উল্লেখ করেন ফরাসউদ্দিন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রাক্তন এই গভর্নর আরো বলেন, ‘২০১৫ সালের ৮ মার্চ সুইফট বাংলাদেশ ব্যাংকে একটি পত্র দেয়। সে পত্রে আরটিজিএস (তাৎক্ষণিক লেনদেনে প্রক্রিয়া) সাথে সুইফটের সংযোগ দিতে বলা হয়। আর বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ অসতর্কতা, অজ্ঞতা ও দায়িত্ব জ্ঞানহীনভাবে তা অনুমোদন করে। যা কাল হয়ে দাঁড়ায়।
সংযোগ দেওয়ার পর ২৪ ঘণ্টা বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্ভার চালু রাখতে বলে তারা। অথচ এর জন্য যে প্রযুক্তি সহযোগিতা প্রয়োজন তা করা হয়নি। সে সংযোগের পরে বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্ভারে প্রবেশ করার একটি বিশেষ ম্যালওয়ার তৈরি করা হয়েছে।
যা থেকে পরবর্তীতে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ১০ কোটি ডলার ডাকাতি করা হয়। এর দায় বর্তায় সুইফেটের ওপর। কারণ সুইফট বিশ্বব্যাপী একটি সুরক্ষিত আর্থিক নিরাপত্তাদানকারী প্রতিষ্ঠান।
সানবিডি/ঢাকা/মেহেদী/এসএস