আট বছরের শিশুকে ধর্ষণ শেষে হত্যা!

প্রকাশ: ২০১৬-০৫-১৭ ১৮:১৮:২৪


India-Woman-Rapedগাজীপুরে আট বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর তার লাশ ফেলে দেয়া হয় সেপটিক ট্যাংকে। গত রবিবার রাত ১১টার দিকে বাড়ির পাশের ওই সেপটিক ট্যাংক থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত মায়া আক্তার মিলি গাজীপুর মহানগরীর দাখিনখান পূর্বপাড়া এলাকার রাজমিস্ত্রী কামাল হোসেন তফদারের মেয়ে। স্থানীয় হায়দরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ত সে।
ঘটনার পর থেকে ধর্ষক রহমতউল্লাহ মনা (১৮) পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ধর্ষকের মা ফজিলত বেগম ফাতেমা (৪০) ও বোন নাসিমা আক্তারকে (২২) গ্রেফতার করেছে।
নিহত মিলির বাবা কামাল হোসেন তরফদার জানান, তার সঙ্গে সৌদি প্রবাসী বড় ভাই কালাম হোসেনের জমিজমা নিয়ে বিরোধ ছিল। এ নিয়ে প্রায়ই তাদের দুই পরিবারের মধ্যে ঝগড়াবিবাদের ঘটনা ঘটে। রবিবার সকালে মিলির মা সালমা স্থানীয় গার্মেন্টসে, বড় বোন সাদিয়া আফরিন রুনা স্কুলে এবং তিনি কাজের উদ্দেশে অন্যত্র চলে যান। দুপুরে তিনি বাড়ি এসে খাবার খেয়ে ফের কাজে চলে যান। তখন মিলি বাড়িতে একাই ছিলো।
সন্ধ্যায় তিনি বাড়ি ফিরে শুনেন ছোট মেয়ে মিলিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে তিনি ও পরিবারের লোকজন মিলে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি ও মাইকিং করেন। এক পর্যায়ে রাত ১১টার দিকে তার ভাতিজা রহমতউল্লাহ মনাদের বাথরুমের সেপটিক ট্যাংকের স্ল্যাব সরানো দেখতে পেয়ে সন্দেহ হয়। পরে সেপটিক ট্যাংকির স্ল্যাব সরিয়ে নিচে বাঁশ দিয়ে নাড়া দিলে মিলির লাশ ভেসে উঠে।
খবর পেয়ে জয়দেবপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে হাত, পা ও গলায় রশি বাঁধা অবস্থায় মিলির লাশ উদ্ধার করে। পরে ময়না তদন্তের জন্য লাশ শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। লাশ উদ্ধারকালে শরীরের নিম্নাংশে কোনো কাপড় ছিল না।
জয়দেবপুর থানার পূবাইল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই মোবারক হোসেন জানান, নিহতের গোপনাঙ্গ দিয়ে রক্ত ঝরছিলো। তা থেকে ধারণা করা হচ্ছে হত্যার আগে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। তার গালে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কামড়ের চিহ্ন রয়েছে।
তিনি আরো জানান, এ ব্যাপারে নিহতের বাবা কামাল হোসেন তফদার বাদী হয়ে তার ভাতিজা রহমতউল্লাহ মনাসহ তিনজনকে আসামি করে জয়দেবপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। রাতেই মামলার আসামি মনার মা ফজিলত বেগম ফাতেমা (৪০) ও তার বোন নাসিমা আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়। তবে ধর্ষক রহমতউল্লাহ মনা পলাতক রয়েছে।
সানবিডি/ঢাকা/আহো