দুপুর নাগাদ উপকূল অতিক্রম করবে রোয়ানু
প্রকাশ: ২০১৬-০৫-২১ ১০:০৮:৫৮
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’ শক্তিশালী হয়ে বাংলাদেশে উপকূলের দিকে আরও এগিয়ে এসেছে। আবহাওয়ার ১৭ নম্বর বিশেষ বুলেটিনে শনিবার সকালে জানানো হয়েছে, শনিবার দুপুরের মধ্যেই এটি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও বরিশাল উপকূল অতিক্রম করবে। সকাল ৬টায় ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ২৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ২৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। এটি আরও পূর্ব, উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে শনিবার সকাল অথবা দুপুর নাগাদ চট্টগ্রাম ও বরিশাল উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে শুক্রবার রাত থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাত ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে ৭, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ এবং খুলনা ও মংলা সমুদ্রবন্দরকে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
ঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকা ৪ থেকে ৫ ফুট জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলেও পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। ঝড় মোকাবেলার প্রস্তুতি হিসেবে উপকূলীয় এলাকা থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে আগেই। সরকারি ও আধা-সরকারি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড়ে সাইক্লোন সেন্টারগুলোকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সাগর তীরের আট দেশের আবহাওয়াবিদদের সমন্বয়ে গঠিত প্যানেলের তালিকা অনুযায়ী এই ঝড়ের নাম দেয়া হয়েছে ‘রোয়ানু’। নামটি মালদ্বীপ প্রস্তাব করেছিল।