আমি যেভাবে পুরুষ থেকে নারী হলাম

আপডেট: ২০১৬-০৫-২৩ ১৯:৫৫:১৫


শ্রী ঘটক মুহুরি। পেশায় বিউটিসিয়ান। একজন ভারতীয় রূপান্তরকামী। বর্তমানে রূপান্তরিতও। বিয়ে করেছেন সম্প্রতি। খুলে জানাতে চান তাঁর সত্তার মনের কথা। জীবনকে নিজের ছাঁচে ভাবতে চেয়েছেন তিনি। মনের গভীতে ডুবে থাকা নারীসত্তাকে তুলে এনেছেন প্রকাশ্যে। রূপান্তরের ইচ্ছে ডানা মেলে আজ আর অধরা নয়।সম্প্রতি ভারতের একটি পত্রিকায় প্রকাশিত সেই লেখা ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ হচ্ছে সানবিডিতে। আজ পড়ুন ১ম পর্ব। image

জীবনটা আমার রূপকথার মতো।

আনন্দ-দুঃখ-রোমাঞ্চ— সবই রয়েছে, ভাগাভাগি করে। তবে সত্যি করে রাজকুমারী হয়েছিলাম যেদিন, আমার হবু শ্বশুরমশাই সঞ্জয়ের জন্য আমাকে পছন্দ করেন। ‘পছন্দ’ না বলে, ‘মেনে’ নেওয়া বলাই ঠিক। সঠিক তারিখটা মনে নেই। তবে, সেদিন বই মেলায় গিয়েছিলাম সঞ্জয় আর আমি। ফেরার পথে গিয়েছিলাম ওদের বাড়ি।

তার পর সব যেন স্বপ্নের মতো।

বিয়ে উপলক্ষ্য একটা মেয়ের জীবনে যা যা ঘটে, সবই হয়েছিল আমার জীবনে। কেনাকাটা, আত্মীয়-বন্ধুদের নিমন্ত্রণ তালিকা, শ্বশুরবাড়ির যৌতুক, তত্ত্ব, ফুলশয্যার উপকরণ— বাদ যায়নি কিছুই।

এক সময় এসেই গেল সেই শুভ দিনটি। ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬। সকাল থেকে বাড়িতে তোড়জোড়। নান্দীমুখ, গায়ে হলুদ। গোধূলী লগ্ন। গাঢ় গোলাপি রঙের বেনারসি পরা আমি। রং পছন্দ করেছিল মা আর বোন। চন্দন-টিপ, মাথায় ফুলের মুকুট, স্বর্ণালঙ্কারে সজ্জিতা আমি। কনের সাজে নিজেকেই নিজে চিনতে পারছিলাম না।

শুভদৃষ্টির সময়ে মনে হয়েছিল সঞ্জয়কে যেন প্রথমবার দেখছি। আমার স্বপ্নের রাজকুমার। মালা হাতে যেন এর জন্যই অপেক্ষায় ছিলাম এত বছর। চার-হাত এক হওয়ার সেই মধুর স্মৃতিও চিরকালীন। যদিও শত বাধা উপেক্ষা করে সঞ্জয়, অনেক বছর আগেই আমার হাত ধরেছিল। আজ তা সমাজে স্বীকৃতি পেল কেবলমাত্র।

এখন আমি সঞ্জয়ের ঘরণী। এ শহরেই ছোট্ট সাজানো সংসার আমাদের।
অন্যান্য অনেক পরিবারের মতো একটি সারমেয়-সন্তানও রয়েছে বাড়িতে। নাম তার ব্রাউনি।

আমাদের একতলা ছোট্ট ফ্ল্যাটের খুব কাছেই থাকেন আমার শ্বশুর-শাশুড়ি। আর কয়েক মাস পর থেকেই একসঙ্গে থাকবো সবাই। ঠিক যেমনটা ভেবেছিলাম, তেমনটাই এগিয়ে চলেছে জীবন আমাদের।

কিন্তু কয়েক মাস আগেও এমনটা ছিল না। অনেক লাঞ্ছনা-অপমান সহ্য করতে হয়েছে আমাকে এই জীবন বেছে নেওয়ার আগে। শুনবেন সে কথা?………

বাকীটা পড়ুন পরবর্তী পর্বে। আপডেট পেতে লাইক দিন আমাদের ফেসবুক পেইজে- fasebook