বিজ্ঞাপন দিয়ে যৌনদাসী বিক্রি!
প্রকাশ: ২০১৬-০৫-৩০ ১৪:০৮:৫৮
দু’টি কিশোরীর ছবি। যাদের বয়স ১৮ বছরের কাছাকাছি হবে। ছবির উপরে লেখা ‘শি ফর সেল’। আঁতকে ওঠার মতো হলেও ঘটনাটা বাস্তব। অলনাইনে কিশোরী যৌনদাসীদের বিক্রি করার মতো ঘৃণ্য কাজে লিপ্ত জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস।
আবার অন্যএকটি তরুণীর ছবি দিয়ে লেখা হয়েছে- ‘ভাইরা, যৌনদাসী কিনতে চাও? এই মেয়েটাকে বিক্রি করা হবে। দাম ৮ হাজার ডলার।’ সেই ছবিটি এক মধ্য এশীয় তরুণীর। দেখা যায়, সুন্দরী ওই তরুণীর মুখে স্বাভাবিক হাসি নেই, ছবিতে তাকে হাসতে বাধ্য করা হয়েছে।
নিজেকে আইএস জঙ্গি হিসেবে পরিচয় দেয়া আবু আসাদ আলমানি নামে এক ব্যক্তি চলতি মাসের ২০ তারিখে ৮ হাজার ডলারের বিনিময়ে এ কিশোরীকে বিক্রির বিজ্ঞাপন দেন ফেসবুকে। এর কয়েকঘণ্টা পরই অন্য এক কিশোরীকে বিক্রির বিজ্ঞাপন দেয়া হয়। দ্বিতীয় কিশোরীর দামও হাঁকানো হয় ৮ হাজার ডলার।
যদিও তার কয়েকঘণ্টা পরই ফেসবুক থেকে তুলে নেয়া হয় বিজ্ঞাপনের পোস্টগুলো। তবে নিজেকে আইএস জঙ্গি হিসেবে পরিচয় দেয়া আবু আসাদ একাই এ কাজ করছেন, নাকি অন্য জঙ্গিদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে এ কাজ করছেন তা জানা যায়নি।
জঙ্গি বিশেষজ্ঞ মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, ইরাক এবং সিরিয়ার বিরাট অংশ যখন দখল করেছিল আইএস, তখনই সংখ্যালঘু ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের উপর অকথ্য অত্যাচারের শুরু। অল্পবয়সী মেয়েদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল আইএস শিবিরে। জঙ্গিরা নিজেদের মধ্যে ভাগ-বাটোয়ারা করে নিয়েছিল ওই মেয়েদের। তাদের যৌনদাসী বানিয়ে রোজ ধর্ষণ করা হয়।
এখন পরিস্থিতি প্রতিকূল। যুদ্ধে রোজ পিছু হঠতে হচ্ছে আবু বকর আল-বাগদাদির বাহিনীকে। খাবারের জোগান কমেছে, ওষুধের অভাব চরমে। তেলের খনিগুলো একে একে হাতছাড়া। ফলে অর্থসঙ্কটও তীব্র। যৌনদাসীদের খাইয়ে-পরিয়ে রাখার খরচও এড়াতে চাইছে তারা। অতএব বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে ইয়াজিদি তরুণীদের। তার জন্য সম্প্রতি সোশাল মিডিয়ায় একাধিক অ্যাকাউন্ট খুলে যৌনদাসী বিক্রির কাজে লিপ্ত হচ্ছে জঙ্গিরা।
তবে আইএসের পক্ষ নিয়ে বলা হচ্ছে, আইএসকে বিতর্ক করতে একটি শ্রেণি প্রতিনিয়ত এমন বাজে কাজ করে যাচ্ছে। এসব খারাপ কাজের সঙ্গে আইএসের কোনো সদস্যই জড়িত না। আইএসের লক্ষ্য একটাই, খেলাফত প্রতিষ্ঠা করা।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস