আগস্টে রপ্তানি আয় বেড়ে ৪৭৮ কোটি ২১ লাখ ডলার
আপডেট: ২০২৩-০৯-০৪ ১৭:৩২:০৯
আগস্টে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশে তৈরি পণ্য রপ্তানি বাবদ আয় হয়েছে ৪৭৮ কোটি ২১ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার। যা ২০২২ সালের একই সময়ের তুলনায় ১৭ কোটি ৫১ লাখ ৯০ হাজার ডলার বেশি।
শতাংশের হিসেবে ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে রপ্তানি আয় বেড়েছে ৩ দশমিক ৮০ শতাংশ। তবে সরকারের যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল, তা পূরণ হয়নি। ওই মাসে সরকারের রপ্তানি বাবদ আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৮৭ কোটি ২১ লাখ ৯০ হাজার ডলার।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইপিবির তথ্য মতে, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আগস্ট মাসে তৈরি পোশাক, ওষুধ এবং চামড়াসহ ২৬ ধরনের পণ্য বিশ্ববাজারে রপ্তানি হয়েছে। সেখান থেকে আগস্টে ৪৭৮ কোটি ২১ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার আয় হয়েছে।
এর আগে জুলাই মাসে মোট ৪৫৯ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। যা আগের অর্থবছরের একই মাসের ৩৯৮ কোটি ডলারের তুলনায় ১৫ দশমিক ২৬ শতাংশ বেশি।
বিদায়ী ২০২২–২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি ইতিবাচক ধারায় ছিল। সেই ধারাবাহিকতায় চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে পণ্য রপ্তানি ইতিবাচক ধারায় ছিল। সবশেষ আগস্ট মাসেও রপ্তানি আয়ে সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে।
দেশের রপ্তানি আয়ের সিংহভাগই আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। আগস্টে এ খাতে প্রবৃদ্ধির পরিমাণ ১২ দশমিক ৪৬ শতাংশ। আগস্টে পোশাক রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭৮ কোটি ডলার, আয় হয়েছে ৭৯ কোটি ডলার, অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ দশমিক ৬৪ শতাংশ বেশি। এর আগে ২০২২ সালে আগস্ট মাসে পোশাক থেকে এসেছে ৭১ কোটি ডলার।
গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আগস্টে প্লাস্টিক পণ্যে ৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ, পাদুকায় ৬ দশমিক ৫২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
অন্যদিকে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে হিমায়িত মাছ, পাটজাত পণ্য, সিরামিক পণ্য ও হোম টেক্সটাইলে।
এছাড়া গত বছরের একই সময়ের তুলনায় হোম টেক্সটাইলে রপ্তানি কমেছে ৫৩ দশমিক ৪০ শতাংশ, সিরামিকে ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ, হিমায়িত মাছে ৮ দশমিক ৩২ শতাংশ।
সরকার চলতি অর্থবছরের জন্য মোট ছয় হাজার ২০০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
ইপিবির তথ্যানুযায়ী, বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছে পাঁচ হাজার ৫৫৬ কোটি ডলারের পণ্য, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেশি।
এএ