দূষণমুক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন ৩০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে সামিট গ্রুপ

সানবিডি২৪ প্রকাশ: ২০২৩-০৯-০৯ ১৮:৩৪:২১


ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকটি দেশে সৌর, বায়ু ও জলবিদ্যুৎ উৎপাদনে ৩০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশের সামিট গ্রুপ।

সম্প্রতি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান। তিনি বলেন, নিজেদের প্রচলিত জীবাশ্ম জ্বালানিকেন্দ্রিক ব্যবসার বৈচিত্র্যকরণের পাশাপাশি দূষণমুক্ত ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনে জোর দিতেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

রয়টার্সের ‘বাংলাদেশ’স সামিট গ্রুপ টু ইনভেস্ট থ্রি বিলিয়ন ইন ক্লিন এনার্জি পুশ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের সামিট গ্রুপের সব ধরনের বিদ্যুৎ উৎপাদন কার্যক্রম নিয়ন্ত্রিত হয় সিঙ্গাপুরভিত্তিক হোল্ডিং কোম্পানি সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে। এই কোম্পানিতে জাপানি দূষণমুক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন কোম্পানি জেরার ২২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান জানান,সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল ভারতে ব্যাটারি স্টোরেজসহ ১ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন সৌর ও বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করবে।

নিজ অফিসে রয়টার্সকে দেয়া এই সাক্ষাৎকারে আজিজ খান আরও বলেন, ‘আমরা ভারতের বৃহৎ প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করেছি। বাংলাদেশের জন্য এটি হতে যাচ্ছে সবচেয়ে সস্তা বিদ্যুৎ, এমনকি প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতের থেকেও এটি হবে সস্তা।’

এ ছাড়া ভুটান ও নেপালে ৭০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান আজিজ খান। সামিট গ্রুপ বাংলাদেশে এক ডজনেরও বেশি জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের পাশাপাশি বাংলাদেশের দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনালের মধ্যে একটি পরিচালনা করে বলেও রয়টার্সের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

আজিজ খান আরও বলেন, বর্তমানে বিশ্বে এলএনজির মূল্য এখনও অনেক বেশি, যা বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ খাতে ধ্বংসাত্মক প্রভাবে ফেলছে, এর ফলে দেশে বিভ্রাট বাড়ছে, যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে।

রয়টার্স জানায়, গত এক দশকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এলএনজি উৎপাদিত বিদ্যুৎ।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের কারণে বিশ্বে এলএনজির দাম বেড়ে যায়। এ ছাড়া বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এবং মুদ্রার মান হারানোর কারণে জ্বালানির দাম পরিশোধে চাপ সৃষ্টি হয় বাংলাদেশের ওপর। এর সঙ্গে হঠাৎ করে গরম বেড়ে যাওয়ার কারণে চলতি বছর গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক বিদ্যুৎ বিভ্রাটে পড়ে বাংলাদেশ।

তবে এলএনজির দাম পড়তির দিকে এবং নতুন সরবরাহও আসতে শুরু করেছে বলে রয়টার্সকে জানান মুহাম্মদ আজিজ খান। পাশাপাশি ২০২৬ সালের এপ্রিলের মধ্যে সামিটের দ্বিতীয় এলএনজি টার্মিনালের কার্যক্রম শুরু হবে বলেও জানান তিনি। এ ব্যাপারে রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি চলতি বছরের শীতের পর গ্যাসের দাম কমে আসবে।’

এএ