কৃষ্ণসাগরের বিকল্প রুটে ইউক্রেনে প্রথম কার্গো জাহাজ

সানবিডি২৪ আপডেট: ২০২৩-০৯-১৭ ১১:৪৮:৩৭


রাশিয়া-ইউক্রেন চলমান যুদ্ধকে কেন্দ্র করে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি ভেস্তে যাওয়ার পর কৃষ্ণসাগরের নতুন একটি রুট ব্যবহার করে প্রথমবারের মতো শস্য নিতে কোনো জাহাজ ভিড়েছে ইউক্রেনীয় বন্দরে। গতকাল শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকল্প করিডোর পাড়ি দিয়ে দুটি জাহাজ ক্রোর্নোমর্স্ক বন্দরে পৌঁছে। খবর বিবিসি।

বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জাহাজ দুটি বিশ্ব বাজারের জন্য প্রায় ২০ হাজার টন গম নিয়ে ফিরতি পথ ধরবে।

কর্মকর্তারা জানান, রাশিয়ার সঙ্গে শস্যচুক্তি ভেঙে যাওয়ার পর এবারই প্রথম কোনো বেসামরিক জাহাজ ইউক্রেন বন্দরে নোঙর করেছে।

জাহাজে ইউক্রেন, তুরস্ক, আজারবাইজান ও মিসরের নাবিক রয়েছেন। ইউক্রেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী আলেক্সান্ডার কুব্রাকভ জানান, রিজিলিয়েন্ট আফ্রিকা ও আরোওয়াত নামের জাহাজ দুটি দ্বীপ দেশ পালাউ-এর পতাকাবাহী।

গত বছর জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় যুদ্ধরত দেশ দুটি শস্য রফতানি চুক্তি করে। কিন্তু কয়েক দফা বাড়ানোর পর গত জুলাইয়ে নিজেদের সরিয়ে নেয় রাশিয়া। এরপর কৃষ্ণসাগরের পশ্চিম উপকূলকে করিডোর হিসেবে ব্যবহারের ঘোষণা দেয় কিয়েভ।

শস্য রফতানি চুক্তি নিয়ে রাশিয়ার অসন্তোষ রয়েছে। তাদের দাবি, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার ফলে সংকুচিত হওয়া রুশ কৃষি রফতানির সুযোগ বাড়াতে হবে। বিশেষ করে লেনদেনের ওপর থেকে হস্তক্ষেপ তুলতে হবে। এছাড়া একাধিক শর্ত দিয়ে কৃষ্ণ সাগরে বেসামরিক জাহাজ চলাচলের ক্ষেত্রে হুমকি দিয়ে আসছে। তারা বলছে, এ ধরনের জাহাজ সামরিক লক্ষ্যবস্তু হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।

গত সপ্তাহের শুরুর দিকে ওডেসায় নোঙর করা একটি বেসামরিক জাহাজে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছিল যুক্তরাজ্য।

সূর্যমূখী বীজ, বার্লি, ভুট্টা ও গমের মতো ফসলের বৃহত্তম সরবরাহকারী দেশ ইউক্রেন। যুদ্ধের পর থেকে উৎপাদিত শস্যের বাজারজাত নিয়ে সংকটে ভুগছে দেশটি। যার প্রভাব পড়েছে সারাবিশ্বের সরবরাহ ব্যবস্থায়।

এনজে