আর্থিক খাতে সংস্কারের তাগিদ বিশ্বব্যাংকের

আপডেট: ২০২৩-১০-০৪ ১৬:৩৪:৩৯


আর্থিক খাতে সংস্কারের তাগিদ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। মুদ্রা বিনিময় হার, মুদ্রানীতি, সুদের হারসহ ইত্যাদি ক্ষেত্রে সংস্কারের পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি কমানোর কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার কথাও বলেছে সংস্থাটি।

বুধবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিশ্ব ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তাগিদের কথা বলেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। অনেক ক্ষেত্রে সংস্কার হচ্ছে, কিন্তু আরও করতে হবে। এছাড়া সেপ্টেম্বর মাসে মূল্যস্ফীতি যে পরিমাণ কমেছে এতে আমি সন্তুষ্ট নই। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের মন্ত্রীর দপ্তরে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক শেষে আবদৌলায়ে সেক বলেন, বাংলাদেশ কিছু সংস্কার কাজ করছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ ব্যাংক ফাইনান্সিয়াল স্টাবিলিটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। এটা ভালো। সুদেও হারের ক্যাপ ধীরে ধীরে তুলে দেওয়া হচ্ছে। এসব সংস্কার অব্যাহত রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, চলতি অর্থবছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে। তবে যদি নির্বাচনী পরিবেশ ভালো থাকে তাহলে আগামীতে প্রবৃদ্ধি বাড়বে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশকে বিভিন্ন প্রকল্পের বিপরীতে প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। স্বল্প সুদের ঋণের পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন তহবিলসহ বিভিন্ন স্কিম থেকে আরও ঋণ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। দারিদ্র্য নিরসনে বাংলাদেশ ভালো করেছে গত কয়েক বছরে প্রায় ১১ মিলিয়ন মানুষ দারিদ্র্য সীমার ওপরে উঠেছে আর ৫ মিলিয়ন মানুষ চরম দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে এসেছে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই আমরা বাজেট সহায়তা দিয়েছি। আগামীতে আরও দেওয়ার প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের উচ্চ লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। তা পূরণে বিনিয়োগ দরকার।

পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, আমরা ও বিশ্বব্যাংক উভয়ই মনে করি আগামীর পরিবেশ অর্থাৎ নির্বাচনের পরিবেশ যদি ভালো থাকে তাহলে উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। মানুষ যদি উন্নয়নের পক্ষে থাকে তাহলে দেশ এগিয়ে যাবে।

তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি কমেছে। তবে এই কমাতে আমি সন্তুষ্ট নই। মূল্যস্ফীতি কমাতে যা যা করা দরকার সরকার করছে। চলতি বছরের শেষ দিকে ৫/৬ শতাংশে নেমে আসলে আমি খুশি হবো। বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেছেন- মূল্যস্ফীতি কমাতে প্রয়োজনে নিচের ৫ শতাংশ লোকের জন্য যেসব কর্মসূচি আছে সেগুলো বাড়াতে হবে। রোহিঙ্গাদের উন্নয়নে বিশ্বব্যাংক সহায়তা দিতে চায়। আমি বলেছি ইআরডি ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করুন। আমার এখানে কিছু করার থাকলে সেই সহায়তা দেওয়া হবে। বিশ্বব্যাংক গতকাল বলেছে চলতি অর্থবছর আমাদের প্রবৃদ্ধি হবে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। কিন্তু আমি মনে করি এটি ৬ শতাংশের বেশি হবে।

এম জি