রসবোধ থেকে মানুষ ডিবি অফিসকে ‘ভাতের হোটেল’ বলছে: ডিবিপ্রধান
সানবিডি২৪ প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২৩-১১-২১ ১৭:৪৭:০২
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়ে বিভিন্ন সময় নানা শ্রেণি পেশার মানুষ কাজে আসেন। তাদের মধ্যে অনেককে ভাত খাইয়ে আপ্যায়ন করা হয়।
সেই সব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে ভাইরাল হয়েছে। এ কারণে ডিবি কার্যালয়কে ‘ভাতের হোটেল’ বলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে মন্তব্য করেছেন।
তবে এসব মন্তব্যকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তার দাবি, ‘ভাতের হোটেল’ বিষয়টি মানুষ রসবোধ থেকে বলছে।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) মিন্টু রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
‘ভাতের হোটেল’ প্রসঙ্গে ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ‘এইটা রসবোধ প্রশ্ন। বাঙালি একটা রসবোধ জাতি। বাংলা সাহিত্যে রসবোধ প্রয়োগ কিন্তু আমাদের মানসিক খোরাক জোগায়। আমি মনে করি এইটা রসবোধ প্রবণ একটি বিষয়, যে ভাত খাওয়ায়। আমরা তো আসলে কাউকে ডেকে এনে খাওয়াই না। কেউ যদি কাজের জন্য আমাদের কাছে আসে, তার কাজটা করে দেওয়ার চেষ্টা করি আর পাশাপাশি লাঞ্চ টাইম হলে লাঞ্চের অফার করি। সে যদি অফার গ্রহণ করেন তাহলে খেয়ে যান।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তো ব্রিটিশ পুলিশ না। আমরা এখন স্বাধীন দেশের পুলিশ। একটা সময় থানাতে যেতে মানুষ ভয় পেত। আর এখন আমি একজন ডিআইজি শত শত লোক কোনো না কোনো কাজ আসতেছে। সাইবার বোলিংসহ বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে মানুষ আমাদের কাছে আসছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাংবাদিকরাও বলে ডিবি একটি আস্থার জায়গা। ডিবিতে সকল মানুষের অভিযোগের কথা শোনা হয়। আমি মনে করি ডিবি যেহেতু একটি আস্থার জায়গা, ডিবিতে সাধারণ মানুষ আসে আমরা তাদের কাজ করে দেই। আমি মনে করি এইটা আমাদের একটা দায়িত্ব। আর ডিবি পুলিশ যে মানবিক এইটার একটা উদাহরণ হচ্ছে যে, আমরা মানুষকে আপ্যায়ন করি।’
হারুন অর রশীদ বলেন, ‘ইসলাম ধর্মে কিন্তু আছে কোনো মানুষ যদি কারো বাড়িতে আসে তাকে আপ্যায়ন করতে হয়। আমরা স্বাধীন দেশের পুলিশ আমরা যদি কাউকে আপ্যায়ন করি এইটা তো খারাপ কিছু না। আর যারা রসবোধ থেকে ভাতের হোটেল বলে তারাও কিন্তু ভালো অর্থে বলে, খারাপ অর্থে বলে না। এত আমরা উৎসাহিত হই।’
তিনি বলেন, ‘মানুষ আসছে কাজ করে যাচ্ছে এবং খেয়ে যেতে পেরে আমাদের প্রশংসাও করছে। লাঞ্চের টাইমে খেয়ে যেতে পারলে মানুষ খুশি হয়। অপরাধীদের গ্রেপ্তার করি পাশাপাশি মানবিক পুলিশ হিসেবে মানুষকে আপ্যায়ন করি।’
এএ