যুক্তরাজ্যে এক বছরে সর্বোচ্চ সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি
সানবিডি২৪ প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২৩-১১-২৭ ২১:১৭:০৭
দেশের বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা গত এক বছরে যুক্তরাজ্যে সাড়ে পাঁচ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে, যা যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির দিক থেকে সর্বোচ্চ। এই রপ্তানি পণ্যের মধ্যে কমপক্ষে ৯১ শতাংশই এসেছে তৈরি পোশাক খাত থেকে।
এ ছাড়া টেক্সটাইল, মৎস্য, বাইসাইকেলসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য যুক্তরাজ্যে রপ্তানি করা হলেও সেই সংখ্যা অতি নগণ্য বলা যায়। চায়না প্লাস ওয়ান নীতির সুযোগ কাজে লাগিয়ে যুক্তরাজ্যে পণ্য রপ্তানি বাড়াতে বাংলাদেশ হাইকমিশন কাজ করছে। কৃষিজাত পণ্য, আনারসসহ বিভিন্ন ধরনের ফল রপ্তানির ওপরও জোর দিচ্ছে যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশ হাইকমিশন।
রোববার (২৬ নভেম্বর) ব্রিটেনে সফররত এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশি হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিমের সঙ্গে দেখা করার সময় এসব কথা বলেন সাইদা মুনা।
বাংলাদেশের তৈরি পণ্য মূলধারার বাজারে আনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা যদি মূলধারার বাজারে কী ধরনের পণ্য আসছে এবং সেসব পণ্যের উৎস কোথায়, কী ধরনের চাহিদা রয়েছে—সেগুলো বিশ্লেষণ করতে পারি, তাহলে সেটি দেশের রপ্তানি বাড়াতে সাহায্য করবে।
সাক্ষাৎকালে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, বর্তমানে রপ্তানি খাতের মধ্যে তৈরি পোশাকশিল্পে নির্ভরশীলতা বেড়েছে। এতে অনেক সম্ভাবনাময় খাত উপেক্ষিত হচ্ছে। যা অর্থনীতির জন্য ভালো দিক না। টেকসই উন্নয়ন ও অর্থনীতিকে বেগবান করতে পোশাকশিল্পের বাইরে অন্যান্য পণ্যের উৎপাদন ও নতুন নতুন বাজার সন্ধান করতে হবে। রপ্তানি বৈচিত্র্যকরণের লক্ষ্যে যুক্তরাজ্যে কৃষিজাত পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাটজাত পণ্য, ফুল ও ফল রপ্তানিতে গুরুত্ব আরোপ করতে হবে। তাহলে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়নে প্রতিটি ব্যবসায়ীকে এগিয়ে আসতে হবে। বাংলাদেশের রপ্তানি আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশে-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নিয়ে আসার বিষয়েও বাংলাদেশি হাইকমিশনের সহযোগিতা দরকার। পাশাপাশি বিভিন্ন দেশে নিযুক্ত কমার্শিয়াল কাউন্সিলরদের আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন ও ব্যবসায়ীদের সহযোগিতার প্রয়োজন।
এএ