এবারও নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হচ্ছে না
আপডেট: ২০২৩-১১-৩০ ১৬:১১:২৮
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, ‘তফসিল ঘোষণার আগে ও পরের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। এ পর্যবেক্ষণে আমাদের ধারণা হয়েছে, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ বলতে যা বোঝায়, তা আমরা এবারও দেখতে পাচ্ছি না।’
আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে টিআইবি কার্যালয়ে আয়োজিত ‘গণতন্ত্র, সুশাসন ও শুদ্ধাচার চর্চার রাজনৈতিক অঙ্গীকার : টিআইবির সুপারিশমালা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ইফতেখারুজ্জামান।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, আসনভিত্তিক সংসদীয় গণতন্ত্রের চর্চা হয়েছে।
এখন সময় এসেছে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক সংসদ প্রতিষ্ঠা করার। এটি নিয়ে আলোচনা হওয়া প্রয়োজন। এ জন্য প্রয়োজন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। এর অনেকগুলো উপাদান আছে; তার মধ্যে অন্যতম হলো, নির্বাচনকালীন সরকারে দলীয় ও স্বার্থের প্রভাবমুক্ত ভূমিকা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার।
সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে পরিবর্তন দরকার। সংসদে প্রান্তিক মানুষের প্রতিনিধি নিশ্চিত করতে হবে।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, হয়তো এ নির্বাচন সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। এর মাধ্যমে ক্ষমতায় কারা অধিষ্ঠিত থাকবেন, সেটিও নির্ধারণ করার সুযোগ হবে।
কিন্তু সত্যিকার অর্থে জনগণের ভোটের অধিকারের যে নির্বাচন সেটি নিশ্চিত করা যাবে না। এ নির্বাচনের ওপর জনগণের আস্থা বা ভোটের ওপর জনগণের আস্থা নিশ্চিত করা অসম্ভব হবে বলে মনে করি।
প্রধানমন্ত্রী দায়িত্বে বহাল থাকায় নির্বাচনে দলীয় বিষয়গুলো বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, যখন একটি দল নির্বাচিত হয়, সেই দল দেশের সরকার হিসেবে নির্বাচিত হয়। তখন সেই সরকার আর কোনো দলের সরকার থাকে না। কিন্তু সেই সরকারের প্রধান যদি স্বপ্রণোদিতভাবে দলীয় নেতৃত্বের অবস্থান থেকে পদত্যাগ করেন, তাহলে প্রতীকী অর্থে হলেও সবার সরকারপ্রধান হিসেবে বা সব দলের সরকার হিসেবে তার ভূমিকা রাখা সম্ভব হয়।
এনজে