চার ব্রোকারেজ হাউজের ক্ষতিগ্রস্তরা পাচ্ছেন ২৫ কোটি টাকা
আপডেট: ২০২৩-১২-১১ ১৯:৪৯:২১
ইনভেস্টরস প্রোটেকশন ফান্ড থেকে আনুপাতিক হারে চার ব্রোকারেজ হাউজের ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের অর্থ ফেরত দেওয়া শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিনের নির্দেশ অনুযায়ী ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড এর ট্রেকহোল্ডার কোম্পানি ক্রেষ্ট সিকিউরিটিজ লিঃ, বাঙ্কো সিকিউরিটিজ লিমিটেড, তামহা সিকিউরিটিজ লিমিটেড এবং শাহ মোহাম্মদ সগীর অ্যান্ড কো. লিমিটেড-এর যেসব ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারী ১ অক্টোবর ২০২৩ তারিখের মধ্যে ডিএসইতে অভিযোগ দাখিল করেছেন শুধুমাত্র সেইসব বিনিয়োগকারীদেরকে ইনভেস্টরস প্রোটেকশন ফান্ড (IPF) থেকে ২৫ কোটি টাকা তাদের নিজ নিজ বিও হিসাবে উল্লেখিত ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে আনুপাতিক হারে প্রাপ্য অর্থ প্রদানের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের উপ-মহাব্যবস্থাপক মোঃ শফিকুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
ডিএসই’র প্রধান নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা খাইরুল বাশার আবু তাহের মোহাম্মদ এর তত্ত্বাবধানে দু’জন বিনিয়োগকারীর হাতে দুইটি চেক হস্তান্তরের মাধমে চারটি ব্রোকারেজ হাউজের ৮ হাজার ৫৮১ জন ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীকে আনুপাতিক হারে বিইএফটিআইএন-এর মাধ্যমে ২৫ টাকা কোটি পরিশোধ করবে।
চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসি’র কমিশনার মোঃ আব্দুল হালিম, ডিএসই’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু, ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এটিএম তারিকুজ্জামান, সিপিএ, প্রধান রেগুলেটরি কর্মকর্তা খায়রুল বাসার আবু তাহের মোহাম্মদ, প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা সাত্বিক আহমেদ শাহসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানের শুরুতেই ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এটিএম তারিকুজ্জামান বলেন, আজ আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে আপনাদের হাতে কিছু টাকার চেক তুলে দিতে পারছি। আমরা আশা করছি পর্যায়ক্রমে সকল বিনিয়োগকারীদের পাওনা পরিশোধ করতে পারবো। আমি বিশ্বাস করি, এর মাধ্যমে বাজারে একটা ইতিবাচক বার্তা যাবে। আমরা সকল পাওনা পরিশোধের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বিনিয়োগকারীরা যেন এধরণের ঘটনায় ভবিষ্যতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে বিষয়েও আমরা সতর্ক রয়েছি। এটি খুবই আনন্দের বিষয় যে, কমিশনের কমিশনার মোঃ আব্দুল হালিম যিনি এই ফান্ড (ইনভেস্টরস প্রোটেকশন ফান্ড) থেকে বিনিয়োগকারীরা যেন টাকা পায়, সেই বিষয়ে তত্পর ছিলেন। আজ তার উপস্থিতিতেই বিনিয়োগকারীদের টাকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হলো।
তারিকুজ্জামান বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামকেও ধন্যবাদ জানান এবিষয়ে তত্পর থাকার জন্য।
বিএসইসি কমিশনার মো. আব্দুল হালিম বলেন, অল্প কিছু হলেও ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের দিতে পারছি, এটা আনন্দের। তবে আইন-কানুন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আরও সক্রিয় হতে হবে। যেন কেউ কোনো বিনিয়োগকারীর টাকা আত্মসাৎ করতে না পারে।
বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা দিতে পারলে পুঁজিবাজারে আস্থা বাড়বে। এই চারটি প্রতিষ্ঠানে টাকা আত্মসাতের পর নতুন করে কেউ আর আত্মসাৎ করতে পারেনি। এটা বন্ধ করতে নতুন আইন করতে হয়নি। আইনের যথাযথ প্রয়োগ করে, মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে। যেন ভবিষ্যতে আর কেউ অর্থ আত্মসাৎ করতে না পারে।
ডিএসই’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মোহাম্মদ হাসান বাবু বলেন, ডিএসইতে একটা যাত্রা শুরু হলো। বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা দরকার আছে। অল্প পরিসরে হলেও আমরা প্রমাণ করতে পারলাম, আমরা বিনিয়োগকারীদের কথা চিন্তা করি, আমরা বিনিয়োগকারী বান্ধব। তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে চলতে চাই। আজকের এই চেক হস্তান্তর বাজারের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমরা শুধু বড় বড় বিনিয়োগকারীদের কথা ভাবি না, ছোট ছোট বিনিয়োগকারীদের কথাও চিন্তা করি।
এএ