নিজেদের ৩ জিম্মিকে হত্যা করেছে ইসরাইলি সেনারা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক আপডেট: ২০২৩-১২-১৬ ১১:০৭:৩৪


ইসরায়েল-ফিলিস্তিন চলমান যুদ্ধের মধ্যে গাজার উত্তরাংশে শেজাইয়া এলাকায় হামাস যোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘাতের সময় ইসরাইলের স্থলবাহিনীর গুলিতে এই তিনজন নিহত হয়। তারা তিনজনই ছিলেন ইসরইলি জিম্মি।

বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে ইসরাইলেরর প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। খবর বিবিসির।

নিহত তিন জিম্মি হলেন- ইয়োতাম হাইম (২৮), সামের তালালকা (২২) ও অ্যালোন শামরিজ (২৬)।

কী কারণে এই ভুল ঘটল, তা বের করতে ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করা হয়ছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে আইডিএফ বলেছে, ‘নিহতদের পরিবারের প্রতি আইডিএফের পক্ষ থেকে গভীর শোক জানানো হচ্ছে। আমাদের এই অভিযানের লক্ষ্য সব জিম্মিকে নিরাপদে ফিরিয়ে আনা।’

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা ইসরাইলের ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালানোর পর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরাইলি বিমান বাহিনী। পরে ১৬ অক্টোবর থেকে অভিযানে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও।

ইসরাইলি বাহিনীর টানা দেড় মাসের অভিযানে কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা, নিহত হয়েছেন প্রায় ১৯ হাজার ফিলিস্তিনি। নিহত এই ফিলিস্তিনিদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা ১০ হাজারেরও বেশি।

অন্যদিকে, হামাস যোদ্ধাদের হামলায় ইসরাইলে নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ২০০ জন ইসরাইলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক। পাশপাশি ইসরাইল থেকে ২৪০ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় নিয়ে যায় যোদ্ধারা।

এই জিম্মিদের মধ্যে ইসরাইলিদের সংখ্যা ১০৪ জন। বাকি ১৩৬ জনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স, আর্জেন্টিনা, রাশিয়া ও ইউক্রেনের নাগরিকরা রয়েছেন; এবং রয়েছেন শিশু, নারী, তরুণ-তরুণী এবং বৃদ্ধ-বৃদ্ধা— সব বয়সী মানুষ।

দেড় মাসেরও বেশি সময় যুদ্ধের পর অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক চাপের মুখে নতি স্বীকার করে গত ২৫ নভেম্বর অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ এবং হামাস। প্রথমে চার দিনের বিরতি ঘোষণা করলেও পরে এই বিরতির মেয়াদ আরও ৩ দিন বাড়ানো হয়।

৭ দিনের এই অস্থায়ী বিরতির সময় নিজের হাতে আটক ২ শতাধিক জিম্মির মধ্যে থেকে ১১৮ জনকে মুক্তি দিয়েছে হামাস; আর এই সময়সীমায় ইসরাইলের বিভিন্ন কারাগার থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ১৫০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে।

এনজে