ডিসেম্বরের মধ্যে নগদ সহায়তার চার হাজার কোটি টাকা চায় বিকেএমই

সানবিডি২৪ প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২৩-১২-১৮ ১৮:৪২:৩৬


রপ্তানিতে নগদ সহায়তা বাবদ চার হাজার কোটি টাকা ছাড়ের আহবান জানিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশের নিট পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন–বিকেএমইএ।

বিকেএমইএ’র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেমের সই করা চিঠিটি সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) মন্ত্রণালয়কে দেওয়া হয়েছে। এতে দ্রুত এ তহবিল ছাড় করার অনুরোধ করা হয়েছে সংগঠনের পক্ষ থেকে। নাহলে বস্ত্র খাতে একটা মারাত্মক বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

গত মাসে পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বাড়িয়ে সাড়ে ১২ হাজার টাকা করার পরে এই অনুরোধ করা হলো।

চিঠি পাওয়ার পর এদিন সন্ধ্যায় রপ্তানিকারকদের জন্য নগদ এ প্রণোদনার এক হাজার কোটি টাকা ছাড় করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে একথা জানানো হয়েছে।

চিঠিতে বিকেএমইএ বলেছে, টিকে থাকার সংগ্রামে দেশের শিল্প খাত যখন হিমশিম খাচ্ছে চরমভাবে; তখন আবার পোশাকখাতের মজুরি কাঠামো বৃদ্ধি করা হয়েছে অস্বাভাবিক হারে। যা পরিশোধের সক্ষমতা বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে অধিকাংশ গার্মেন্টস মালিকদেরই নেই বললে চলে। এমন এক কঠিন পরিস্থিতিতে যথা সময়ে নতুন কাঠামোর বেতন ভাতা পরিশোধ করতে না পারলে শ্রম অসন্তোষ ঘটার আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায় না। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের তথা অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহযোগিতা ছাড়া এ চাপ সামলে ওঠা খুবই কঠিন হয়ে যাবে।

বিকেএমইএ জানিয়েছে, বর্তমানে সর্বমোট চার হাজার কোটি টাকারও বেশি নগদ সহায়তা বাবদ বাংলাদেশ ব্যাংকে বকেয়া দাবি রয়েছে, যা এ খাতকে চরম আর্থিক সংকটে ফেলে দিয়েছে। তাছাড়া চলতি ডিসেম্বর মাসে ব্যাংক ক্লোজিং হওয়ায় ব্যাংকগুলোর পক্ষ থেকে উদ্যোক্তাদের ওপর ঋণের কিস্তি পরিশোধের ব্যাপক চাপ রয়েছে।

আনুষ্ঠানিক তথ্যমতে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে সরকার পাটখাত ছাড়া অন্যান্য খাতের স্থানীয় রপ্তানিকারকদের জন্য ৭ হাজার ৮২৫ কোটি টাকার নগদ সহায়তা বরাদ্দ দেয়।

এপ্রিল মাসেও নগদ সহায়তা ছাড়ে সরকারকে অনুরোধ করে বিকেএমইএ। ঈদুল ফিতরে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা ও বোনাস পরিশোধে অগ্রিম হিসেবে নগদ সহায়তার দেড় দেড় হাজার কোটি আগাম চাওয়া হয়।

এএ