মিয়ানমারে চলছে মর্টারশেল-গোলাবর্ষণ, খোসা এসে পড়ল বাংলাদেশ
জেলা প্রতিনিধি প্রকাশ: ২০২৪-০২-০৪ ১২:২৭:৪০
মিয়ানমারের জান্তাবাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে চলছে মুহুর্মুহু মর্টারশেল ও গুলিবর্ষণ। এতে সীমান্তে থমথমে বিরাজ করছে। ফলে তুমব্রু সীমান্তের এপারের দুই গ্রামের প্রায় ৩ হাজার মানুষ অন্যত্রে আশ্রয় নিয়েছে। শনিবার রাত থেকে রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত থেমে থেমে ছোড়া হচ্ছে মর্টারশেল। গোলাগুলি চলছে। এতে তুমব্রু সীমান্তে বাংলাদেশি দুই বাড়িতে মর্টারশেলের বিস্ফোরিত অংশসহ গুলি এসে পড়েছে। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘রাত থেকে এখন পর্যন্ত (সকালে) সীমান্তে মর্টারশেল ও গুলিবর্ষণ থেমে নেই। এতে রাত থেকে দুই গ্রামের (কোনাপাড়া-পশ্চিম পাড়ার) প্রায় তিন হাজার মানুষ নিরাপদে অন্যত্র আশ্রয়ে চলে গেছেন। এছাড়া মিয়ানমারের ছোড়া মর্টারশেলের বিস্ফোরিত অংশ ও গুলি এসে পড়েছে স্থানীয় দুই বাড়িতে। তবে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।’ তিনি বলেন, ‘সীমান্তে থমথমে অবস্থা। এখানকার বাসিন্দারা খুব বেশি আতঙ্কের মধ্য রয়েছে।’
এ বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, রাত থেকে এখনও মুহুর্মুহু গুলি ও মর্টারের গোলা নিক্ষেপ চলছে মিয়ানমার সীমান্তে। এ ঘটনায় পশ্চিম পাড়ার ফরিদ আলমের বাড়িতে গুলি এবং কোনাপাড়া ইউনুছ ওরফে ভুলুর বাড়িতে এসে পড়ে মর্টারশেলের খোসা। এতে বাড়ির টিন ছিদ্র হয়ে খোসাটি বাড়ির ভেতরে এসে পড়ে। তবে বাড়িতে কেউ না থাকায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এ ঘটনার আগে থেকেই কোনারপাড়ার বাসিন্দারা বাড়িঘর ছেড়ে আত্মীয়-স্বজনের বাসায় চলে গেছেন। এতে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ভয়ে লোকজন ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।
তুমব্রু সীমান্তের বাসিন্দা শাহাজান মিয়া বলেন, ‘ব্যাপক মর্টারশেল-গুলিবর্ষণ চলছে মিয়ানমার সীমান্তে। ফলে এখানকার মানুষ অন্যত্র সরে যাচ্ছেন। এখানে থমথমে অবস্থা। মানুষ রাত-দিন আতঙ্কে দিনযাপন করছেন। অনেকে বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না’
এদিকে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং থেকে শাহপরীর দ্বীপ এলাকার মিয়ানমার সীমান্তে গুলিবর্ষণের আওয়াজ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। টেকনাফ সীমান্তের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী বলেন, রাত থেকে সকাল পর্যন্ত থেমে গুলিবর্ষণ চলছে। এ কারণে এখানকার মানুষের মাঝে ভয়ভীতি কাজ করছে।
এ বিষয়ে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (বিজিবি-২) অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘সীমান্তে আমরা সর্বোচ্চ সর্তক অবস্থানে রয়েছি। কোনোভাবে নতুন করে কোনো অনুপ্রবেশ ঘটতে দেওয়া হবে না।’
এনজে