ভারতে স্বর্ণের চাহিদা বৃদ্ধির পূর্বাভাস
সানবিডি২৪ প্রকাশ: ২০২৪-০২-০৫ ১০:৫১:৫৭
বর্তমানে ভারত বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ স্বর্ণ ব্যবহারকারী দেশ। বৈশ্বিক চাহিদার বড় একটি অংশই আসে দেশটি থেকে। আকাশছোঁয়া দামের কারণে এ বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) সেখানকার ক্রেতাদের কাছে মূল্যবান ধাতুটির চাহিদা কমে যেতে পারে। তবে ধীরে ধীরে তারা এ দামের সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে উঠবেন বলেও প্রত্যাশা করা হচ্ছে। দেশটিতে চলতি বছর স্বর্ণের বার্ষিক চাহিদা বাড়বে বলে মনে করছে ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল (ডব্লিউজিসি)।
বিশ্ববাজারে বর্তমানে রেকর্ড দামে কেনাবেচা হচ্ছে স্বর্ণ। ভারতে চাহিদা বাড়ায় তা বৈশ্বিক দামকে আরো বেশি ঊর্ধ্বমুখী করে তুলবে বলে জানিয়েছে ডব্লিউজিসি। তবে ধাতুটির আমদানি চাহিদা বাড়লে ভারতের বাণিজ্য ঘাটতিও বিস্তৃত হবে, যা রুপির ওপর চাপ সৃষ্টি করবে।
ডব্লিউজিসির ইন্ডিয়ান অপারেশন্সের সিইও সোমসুন্দারাম পি আর বলেন, ‘ভারতে পাঁচ বছর ধরে স্বর্ণের চাহিদা ৭০০-৮০০ টনের মধ্যেই আটকে আছে। তবে এ বছর এ প্রবণতার অবসান ঘটতে পারে। বার্ষিক চাহিদার পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ৮০০-৯০০ টনে। ভারতে এখন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ব্যাপক। ক্রেতারা বাড়তি দামের সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে উঠছেন।’
ডব্লিউজিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালে দেশটিতে স্বর্ণের চাহিদা আগের বছরের তুলনায় ৩ শতাংশ কমে গিয়েছিল। চাহিদার পরিমাণ ছিল ৭৪৭ দশমিক ৭ টন, যা ২০২২ সালের পর সর্বনিম্ন। উচ্চমূল্যের কারণে ক্রেতারা জুয়েলারি কেনার পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছিলেন, যা মোট চাহিদায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
ভারত সবচেয়ে বেশি স্বর্ণ আমদানি করে সুইজারল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত, পেরু ও ঘানা থেকে। এ বছরের প্রথম প্রান্তিকে দেশটিতে বিয়ের জন্য শুভদিনের সংখ্যা খুব কম বলে জানিয়েছেন শাস্ত্রীয় গুরুরা। ফলে আলোচ্য সময়ে জুয়েলারি কেনাবেচার পরিমাণ থাকবে তুলনামূলক কম, যা ধাতুটির মোট চাহিদাকে নিম্নমুখী ধারায় রাখবে।
আন্তর্জাতিক বাজারে শনিবার একদিনের ব্যবধানে স্বর্ণের দাম কিছুটা কমলেও তা আউন্সপ্রতি ২ হাজার ডলারের ওপরে অবস্থান করছে। স্পট মার্কেটে প্রতি আউন্স বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৩৮ ডলার ৫৯ সেন্টে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে প্রায় ১ শতাংশ। চলতি বছরের শুরু থেকেই ২ হাজার ডলারের ওপরে অবস্থান করছে ধাতুটির বাজারদর। অন্যদিকে নিউইয়র্ক মার্কেন্টাইল এক্সচেঞ্জে (নিমেক্স) প্রতি আউন্স লেনদেন হচ্ছে ২ হাজার ৫৩ ডলার ৭ সেন্টে।
ভারতের বাজারসংশ্লিষ্টরা জানান, রেকর্ড দামের কারণে ভারতে স্বর্ণের চোরাচালানও বেড়েছে। এক বছরের ব্যবধানে চোরাচালানের পরিমাণ ১১০ থেকে বেড়ে ১৩০ টনে উন্নীত হয়েছে।
এনজে