সালাম বিনিময়ে যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখা জরুরি
সানবিডি২৪ প্রকাশ: ২০২৪-০২-০৫ ১৬:০৪:১৩
সালাম ইসলামী সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ। মহানবী (সা.) মুসলিম সমাজে সালামের প্রসার ঘটানোর নির্দেশ দিয়েছেন। তবে সালাম বিনিময়ের ক্ষেত্রে কিছু ভুল পরিলক্ষিত হয়, যা সালামের মাহাত্ম্য নষ্ট করে।
সালাম বিনিময়ে যে ভুল হয় তা হলো—
১. সালাম পাওয়ার অপেক্ষা করা : বহু মানুষের ধারণা, ছোটরা ও অধস্তনরা সালাম দেবে এবং তারা উত্তর দেবে।
তাই তারা অন্যের সালামের অপেক্ষা করে। ইসলামের শিক্ষা হলো বড়রাও ছোটদের সালাম দেবে; যেকোনো বয়সের মানুষ আগে সালাম দিয়ে মর্যাদা লাভের চেষ্টা করবে।
২. সালাম শুনেও জবাব না দেওয়া : কখনো কখনো অপছন্দের মানুষ সালাম দিলে ব্যক্তি তার উত্তর প্রদান করে না। অথচ অপছন্দনীয় ব্যক্তির সালামের উত্তর দেওয়াও ওয়াজিব।
৩. সালামের জবাব দিয়ে আবার সালাম দেওয়া : উত্তম হলো ব্যক্তি আগে সালাম দেবে। কিন্তু কেউ যদি সালাম দিয়ে ফেলে, তবে শুধু সালামের উত্তর দেওয়াই দায়িত্ব। আবার সালাম দেওয়া অগ্রহণযোগ্য।
৪. জবাব না দিয়ে আবার সালাম : বড়রা সালাম দিলে কেউ কেউ উত্তর না দিয়ে আবার সালাম দেয়।
এ ধারণা থেকে সালাম দেওয়া তার দায়িত্ব ছিল। অথচ অন্য কেউ সালাম দিলে তখন উত্তর দেওয়াই নিয়ম ও ওয়াজিব।
৫. জবাব না পেলে ‘সালাম দিয়েছি’ বলা : সালাম দেওয়ার পর উত্তর না পেলে সালাম দিছি বলার রীতি আছে, এটা ঠিক নয়। নিয়ম হলো আবার সালাম দেওয়া এবং শ্রোতা সালাম শুনতে পায় এমনভাবে দেওয়া। সালামের উত্তর যেভাবে শুনিয়ে দিতে হয়, তেমনি সালামও শুনিয়ে দিতে হয়।
৬. নিম্নস্বরে সালামের জবাব দেওয়া : সালামের উত্তর শুনিয়ে দেওয়া ওয়াজিব। তাই নিম্নস্বরে বা মনে মনে সালাম দেওয়ার অভ্যাস পরিহারযোগ্য।
৭. অসময়ে সালাম দেওয়া : সালাম শুভেচ্ছা ও সৌজন্য বিনিময়ের মাধ্যম। সাক্ষাতের সময় তা বিনিময় করাই নিয়ম। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, মোনাজাত ও জানাজা শেষে সালাম বিনিময় করা হয়। এটি একটি ভুল প্রচলন।
৮. ভুল উচ্চারণে সালাম দেওয়া : সালাম এক প্রকার ইবাদত। বিশুদ্ধ মনে সালাম বিনিময় করলে ব্যক্তি সওয়াবের অধিকারী হয়। তাই বিশুদ্ধ উচ্চারণে সালাম প্রদান করা আবশ্যক। কিন্তু বহু মানুষকে ভুল উচ্চারণে সালাম দিতে দেখা যায়। যেমন—স্লামালাইকুম, সালামালাইকুম, আস্লামালাইকুম, সেলামালাইকুম ইত্যাদি। সালামের সঠিক উচ্চারণ হলো ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ’।
এনজে