৩ শতাংশ বেড়েছে স্বর্ণের বৈশ্বিক চাহিদা

সানবিডি২৪ প্রকাশ: ২০২৪-০২-০৮ ১০:৪৫:২২


বিদায়ী ২০২৩ সালে মূল্যবান ধাতু স্বর্ণের বৈশ্বিক ‍চাহিদা বেড়ে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। অব্যাহত ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা এবং চীনে দুর্বল অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে ওই বছর বিনিয়োগকারীদের কাছে ধাতুটির কদর ছিল অনেক বেশি। চলতি বছরও চাহিদা লক্ষণীয় মাত্রায় বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের (ডব্লিউজিসি) সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

এতে বলা হয়, ওটিসি বা ওভার দ্য কাউন্টার মার্কেট এবং এক্সচেঞ্জগুলোর মজুদ প্রবাহসহ গত বছর বিশ্বজুড়ে স্বর্ণের মোট চাহিদা ছিল ৪ হাজার ৮৯৯ টন, যা ২০২২ সালে ছিল ৪ হাজার ৭৪১ টন। এক বছরের ব্যবধানে চাহিদা বেড়েছে ৩ শতাংশ। ওটিসি বা ওভার দ্য কাউন্টার মার্কেট বলতে মূলত এমন বিকেন্দ্রীকৃত বাজারকে বোঝায়, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা নির্দিষ্ট কোনো এক্সচেঞ্জের পরিবর্তে সরাসরি নিজেদের মধ্যে বাণিজ্য সম্পাদন করে। বিশ্ববাজারে স্বর্ণ কেনাবেচার ক্ষেত্রে ওটিসি বাজারের গুরুত্বপূর্ণ ‍ভূমিকা রয়েছে।

বাজার পর্যবেক্ষরা বলছেন, গত বছর স্বর্ণের বৈশ্বিক চাহিদা বৃদ্ধিতে প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে তিনটি বিষয়। এগুলো হলো রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, ইসরায়েল-হামাস সংঘাত ও চীনের অর্থনীতিতে ধীরগতি। এসব কারণে চলতি বছরও ধাতুটির চাহিদা ও দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকবে।

তথ্য বলছে, গত বছরের ডিস্বেম্বরে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে ওঠে। প্রতি আউন্সের মূল্য দাঁড়ায় ২ হাজার ১০০ ডলারে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও অনানুষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা কেনার পরিমাণ বিপুল মাত্রায় বাড়িয়ে দেয়ায় বাজারদরে দেখা দেয় এমন উল্লম্ফন। টানা দুই বছর ধরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো এক হাজার টনের বেশি স্বর্ণ কিনছে।

ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের প্রতিবেদনে বলা হয়, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর মধ্যে গত বছর পিপলস ব্যাংক অব চায়না ছিল স্বর্ণের সবচেয়ে বড় ক্রেতা। ব্যাংকটি ওই সময় ২২৫ টন স্বর্ণ ক্রয় করে। এর মধ্য দিয়ে ব্যাংকে ধাতুটির মজুদ ২ হাজার ২৩৫ টনে উন্নীত হয়।

এনজে