সব গণপরিবহনকে বিদ্যুৎচালিত করা উচিত: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
আপডেট: ২০২৪-০২-০৮ ২০:৫৮:৪৭
বিদ্যুৎচালিত যানবাহন পরিবেশবন্ধব এবং সব গণপরিবহনকে দ্রুত বিদ্যুৎচালিত পরিবহনে নিয়ে আসা উচিত বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সদস্য একেএম শামীম ওসমানের এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা জানান প্রতিমন্ত্রী।
শামীম ওসমান তার সম্পূরক প্রশ্নে বলেন, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলছে। রিকশার মধ্যেও ব্যাটারি লাগানো হচ্ছে। এগুলো খুবই বিপদজনক এবং চলাচলও নিষিদ্ধ। এই অটোরিকশাগুলো চার্জ করতে গিয়ে ৯০ শতাংশ বিদ্যুৎ খরচ হয়। তারা আমাদের ৭/৮শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ খরচ করছে। এগুলো একযোগে সারা দেশে বন্ধের কোনো বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে কি না?
উত্তরে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, সারা বিশ্বে এখন একটা রেভিউলেশন চলছে, কত দ্রুত ট্রান্সপোর্ট সেক্টরকে ইলেকট্রিক ভেইকেলের মধ্যে নিয়ে যাওয়া হবে। এর সুবিধা দুইটা। আমরা যারা তেল দিয়ে গাড়ি চালাই সেই তেলে ইঞ্জিন ঘোরে তার যে শক্তি সঞ্চয় করে তার ইফিসিয়েন্সি লেভেল ২০ ভাগ। আর আর বিদ্যুৎ দিয়ে শক্তি সঞ্চার করে যে গাড়ি চলবে তার ইফেসিয়েন্সি লেভেল হলো ৮০ ভাগ।
মূলত; আমরা উৎসাহিত করি ইলেকট্রিক ভেইকেলগুলো আসুক বাজারে যত দ্রুত পারে। এতে কোনো যানবাহন এক কিলোমিটার চলতে যদি ১০০ টাকা লাগে, তখন খরচ হবে ২০ টাকা। বাংলাদেশে ৪০ লাখের ওপর থ্রি-হুইলার আছে যারা লেড ব্যাটারি ব্যবহার করে। লেড ব্যাটারিগুলো চার্জ করতে সময় বেশি লাগে, ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা। এ ব্যাটারিগুলো যদি লিথিয়াম ব্যাটারি হয় তাহলে চার্জ করতে লাগবে আধা ঘণ্টা।
তিনি বলেন, আমরা বিদ্যুৎ বিভাগ গত বছর ইলেকট্রিক যানবাহনের চার্জিং স্টেশনের পলিসি বানিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিয়েছেন। পরে আমরা সবগুলো ডিস্টিবিউশন কোম্পানিকে ওয়েব সাইটে দিয়ে দিয়েছি। যে কেউ যদি কোনো চার্জিং স্টেশন বসাতে চায় ওয়েব সাইটে গিয়ে নীতিমালা অনুযায়ী আবেদন করে বসাতে পারে।
এম জি