২৩৫ মেধাবী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিলো দ্য স্কলারস ফোরাম ঢাকা

সানবিডি২৪ প্রকাশ: ২০২৪-০২-০৯ ১৯:৫৮:৫১


২০২৩ সালে নেয়া পরীক্ষায় বৃত্তিপ্রাপ্ত ২৩৫ জন শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা ও বৃত্তি দিয়েছে দ্য স্কলারস ফোরাম ঢাকা। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সুপ্রিমকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন অডিটোরিয়ামে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।

দ্যা স্কলারস ফোরাম ঢাকার চেয়ারম্যান ড. কাজী বরকত আলীর সভাপতিত্বে ও দ্যা স্কলারস ফোরাম ঢাকার সদস্য সচিব হেলাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্ৰধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, বিচারপতি মোহাম্মদ আব্দুর রউফ।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ড. গোলাম রহমান ভূঁইয়া, ড. রফিকুল ইসলাম, আজিজুর রহমান আজাদ, মো:শাফিউল আলম, দ্যা স্কলারস ফোরাম ঢাকার পরিচালক আলাউদ্দিন আবির।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিচারপতি মোহাম্মদ আব্দুর রউফ বলেন, বর্তমান সমাজ মাদকে সয়লাভ হয়ে গেছে৷ শিক্ষিত জাতি গড়তে হলে আমাদের ছাত্রসমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে হবে ৷ এই ব্যাপারে অভিভাবকদের সতর্ক করে তিনি বলেন, তাদের সন্তান যেন মাদকে হারিয়ে না যায়, সে দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে৷ ছাত্র-ছাত্রীদেরকে শিক্ষা অর্জনের পাশাপাশি মূল্যবোধ চর্চা করার জন্যও তিনি বলেন। সবাইকে সত্যবাদী হওয়ার পরামর্শ দিয়ে পিতার- মাতার কথা শোনার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।

অভিবাবকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সন্তান ভুল করলে যেন তারা স্নেহের শাসন করেন,এর মাধ্যমে সন্তানদের মাঝে অনুশোচনা তৈরি হয়।

স্কলারস ফোরামের উপদেষ্টা, আজিজুর রহমান আজাদ বলেন ,বর্তমানে শিক্ষার্থীদেরকে একাডেমিক শিক্ষা অর্জনের পাশাপাশি কারিগরি ও তথ্য প্রযুক্তির শিক্ষায় দক্ষ হয়ে গড়ে উঠতে হবে ৷ আগামি দিনে যারা চাকরি করতে ইচ্ছুক, তাদেরকে একাডেমিক সার্টিফিকেটের পাশাপাশি তথ্য প্রযুক্তির সার্টিফিকেটও অর্জন করা সময়ের অনিবার্য দাবি বলে উল্লেখ করেন ৷ আর এই অর্জন হতে হবে নৈতিকতার সমন্বয়ে৷ তথ্য- প্রযুক্তিতে এতো বেশি আসক্ত হওয়া যাবে না, যাতে জাপানিদের মতো রোবট সিস্টেমে চলে যেতে হয়৷ আজ জাপানিরা এতো বেশি আর্টিফিশিয়াল হয়ে গেছে যে, তাদের পরিবার প্রথাগুলো ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে৷ তাই জ্ঞান অর্জন করতে হবে নৈতিকতা সম্পন্ন জ্ঞান, যাতে আমাদের সমাজ ও পারিবারিক বন্ধনগুলো অটুট থাকে৷

গত বছরের অক্টোবর মাসে পরীক্ষা নেওয় বৃত্তি পরীক্ষায় রাজধানীর প্রায় ১২০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩৮২৩ জন‌ শিক্ষার্থী অংশগ্রহন করে। এ সকল শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে ২৩৫ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে আরো বক্তব্যে দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক, ড. রফিকুল ইসলাম ৷ তিনি তার বক্তব্যে বলেন, প্রতিটি শিক্ষার্থীর ভাষাগত দক্ষতা আর্জন করা দরকার। বাংলা, ইংরেজি, আরবি এই তিন ভাষায় সমান দক্ষতা থাকলে, একজন শিক্ষার্থীর জন্য পৃথিবী অনেক সহজ হয়ে যায়।

অনুষ্ঠানের সভাপতি ড. কাজী বরকত আলী তার বক্তব্যে সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। যারা এই  মহৎ কাজে সহায়তা করেছে তাদেরকে কৃতজ্ঞতা জানান তিনি৷ বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদেরকে ফুলের সাথে তুলনা করে তিনি বলেন, “ফুলের মধ্যে ফুলের সমারোহ”। এরপর তিনি অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, মানুষের একটা সহজাত প্রবৃত্তি হচ্ছে, অন্যর উপর দোষ চাপিয়ে দেয়া৷ তাই বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার দূর্বলতা দেখিয়ে আপনার ছেলে-মেয়ে যাতে উচ্ছৃঙ্খলতায় জড়িয়ে না যায় সে দিকে তীক্ষ্ণ নজর দিতে হবে।

তিনি বলেন, বর্তমানে একটা মারাত্মক সামাজিক সমস্যা হলো ট্রান্সজেন্ডার৷ একটি ক্রুচক্রিমহল আমাদের কোমলমতি শিশুদের ট্রান্সজেন্ডারে কনভার্ট করে আমাদের সামাজিকতা, নৈতিক মূল্যবোধ, পারিবারিক বন্ধন ধংস করার প্রয়াস চালাচ্ছে৷ তাই আপনারা এ ব্যাপারে সতর্ক থাকবেন৷

বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রায় ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষার্থীরা নিজ হাতে বৃত্তির চেক , সনদ ও ক্রেস্ট পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে। বিজ্ঞপ্তি।

এএ