অপ্রদর্শিত টাকা প্রদর্শনের সুযোগের ইঙ্গিত অর্থমন্ত্রীর
সানবিডি২৪ প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২৪-০২-১২ ২১:৪৫:৩০
অপ্রদর্শিত অর্থ প্রদর্শন করার সুযোগের বিষয়টি পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে কিশোরগঞ্জ-২ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য সোহরাব উদ্দিনের এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী এ কথা জানান। অধিবেশনে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন।
অপ্রদর্শিত অর্থ প্রদর্শন করার সুযোগ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, সম্পূর্ণ জিনিসটি আমরা পর্যালোচনা করছি। শুধু যে কালো টাকা নিয়ে তা নয়, গোটা অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েই পর্যালোচনা চলছে।
কিশোরগঞ্জ-২ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য সোহরাব উদ্দিন তার সম্পূরক প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, ডলার সংকটে কারণে দেশের অর্থনীতি বিপর্যস্ত। এর সঙ্গে সম্পর্ক মানিলন্ডারিংয়ে প্রচুর টাকা বিদেশে চলে গেছে। সে কারণে ডলার সংকট আছে। মানিলন্ডারিং দূর করার জন্য দেশে যে পর্যাপ্ত পরিমাণ অপ্রদর্শিত আয় আছে সেটাকে বৈধ করার সুযোগ দেওয়া দরকার। বিশেষ ব্যবস্থায় অতীতেও সেই সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে তা না করার কারণে বিদেশে টাকা চলে যাচ্ছে।
মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ ও ডলার সংকট দূর করার জন্য অপ্রদর্শিত আয়কর দিয়ে বৈধ করার সুযোগ সরকার দেবে কি না সেটা জানতে চান সোহরাব উদ্দিন। জবাবে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, সম্পূর্ণ বিষয়টি আমরা পর্যালোচনা করছি। শুধু ঢালাও কালো টাকা নয়, গোটা অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা চলছে। প্রাথমিক লক্ষ্য দেখে মনে হচ্ছে আমরা উন্নয়নের দিকে যাচ্ছি। আরও কিছুদিন গেলে পরিপূর্ণ চিত্র পাব। সেই পর্যন্ত ধৈর্য ধরার জন্য অনুরোধ করছি।
নীলফামারী-৪ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য সিদ্দিকুল আলম তার প্রশ্নে বলেন, গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে অনেক সরকারি ও বেসরকারি একাধিক প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হয়ে পড়েছে। সেগুলোর আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সরকার কি পদক্ষেপ নিয়েছে। জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, সম্পূর্ণ অর্থনীতি পর্যালোচনা চলছে। যার বিভিন্ন ধারা রয়েছে। তবে আমরা প্রাথমিকভাবে মনে করছি উন্নতির ছাপ দেখতে পাচ্ছি। আরও উন্নতি করতে পারব। তার পরে ধারণা দিতে পারব।
কুষ্টিয়া-৪ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আব্দুর রউফের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, দেশে জানুয়ারি পর্যন্ত ৩৬ লাখ ৬২ হাজার ৮১ জন আয়কর রিটার্ন জমা দিয়েছে।
স্বতন্ত্র সংসদ হুছামুদ্দীন চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে টিআইএন নম্বরধারীর সংখ্যা ৯৯ লাখ ৭০ হাজার, ৪৭১ টাকা। এর মধ্যে রিটার্ন জমা দিয়েছেন ৩৬ লাখ ৬২ হাজার ৮১ জন। বিপরীতে আয়কর আদায় করা হয়েছে ৫ হাজার ৯০১ কোটি টাকা ৬৫ লাখ টাকা।
এএ