স্পিকার-প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থী দেবে পিটিআই
আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ২০২৪-০২-১৩ ১৪:৫৫:৫৮
পাকিস্তানে সংসদ নির্বাচনের পর নওয়াজ শরিফ ও বিলাওয়াল ভুট্টোর দল সরকার গঠনে অনেকটাই এগিয়ে গেছে। তার পরও পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার ও অন্যান্য পদের জন্য প্রার্থী মনোনয়ন দেবে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত এমএনএনরা। এছাড়া পাঞ্জাব ও খাইবার পাখতুনখাওয়ায় সরকার গঠনের জন্যও চেষ্টা চালাবেন দলটির সমর্থিত নির্বাচিত আইনপ্রণেতারা। খবর দ্য ডনের।
এ বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) একাধিকবার অভিযোগ করেছে যে, সরকার ইচ্ছা করেই তাদের সমর্থিত প্রার্থীদের পরাজিত হিসেবে দেখিয়েছে। যাতে করে পাকিস্তান আরও গভীর সংকটে পড়ে। তবে এর পরও পিটিআই রাজনৈতিকভাবে বিষয়গুলো মোকাবিলার পথেই এগিয়ে যাবে।
পিটিআইয়ের অভ্যন্তরীণ একটি সূত্রের বরাত দিয়ে দ্য ডন জানিয়েছে, দলটি এরই মধ্যে কেন্দ্র, পাঞ্জাব ও খাইবার পাখতুন খাওয়ায় প্রাদেশিক সরকার গঠনের লক্ষ্যে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করেছে।
প্রসঙ্গত, পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা আসন পেয়েছেন ১৩৮টি; যাদের বেশির ভাগই পিটিআই সমর্থিত। আর নওয়াজের দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ পেয়েছে ১৩৭টি আসন। নওয়াজের দলের মিত্র পাকিস্তান পিপলস পার্টি পেয়েছে ১০টি আসন।
অন্যদিকে, খাইবার পাখতুনখাওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন ৯০টি আসন। বাকি দলগুলো এখানে পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীদের সঙ্গে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই গড়ে তুলতে পারেনি। ফলে এই প্রদেশে পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীদের সরকার গঠন নিশ্চিতই বলা যায়।
পিটিআইয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন অনুষ্ঠানই দেশকে বিরাজমান অগণিত সংকট থেকে বের করে আনার একমাত্র অনিবার্য গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক উপায় ছিল।
কিন্তু ইসিপি (পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন) তার অযোগ্যতা ও ঘৃণ্য এজেন্ডা দিয়ে এই সুযোগ নষ্ট করছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, তার দল প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নির্বাচনে ‘কারচুপির’ বিষয়টি উত্থাপন করেছে।
এক বিবৃতিতে পিটিআই বলেছে, পাকিস্তানের জনগণ একটি সুস্পষ্ট রায় দিয়েছে এবং তাদের ভোটের শক্তি দিয়ে দৃঢ় ও স্পষ্টভাবে নিজেদের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটিয়েছে।
দুর্ভাগ্যবশত, গণতন্ত্রকে হত্যা করে এবং সমগ্র নির্বাচনী প্রক্রিয়ার বিশ্বাসযোগ্যতা ও অখণ্ডতাকে কলঙ্কিত করে আপসহীন রিটার্নিং অফিসারদের ভয় দেখিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠকে সংখ্যালঘুতে রূপান্তরিত করার চেষ্টা চলেছে।
এনজে