আরও ৩ পণ্য পেল জিআই অনুমোদন
সানবিডি২৪ প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২৪-০২-১৫ ১৬:৩২:২৯
দেশের আরও তিনটি পণ্যকে ভৌগলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে অনুমোদন দিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) শিল্প মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সেগুলো হচ্ছে: যশোরের খেজুরের গুড়, রাজশাহীর মিষ্টি পান এবং জামালপুরের নকশি কাঁথা। এ তিনটি পণ্যকে জিআই অনুমোদন দিয়ে জার্নাল প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে বাংলাদেশের অনুমোদিত জিআই পণ্যের সংখ্যা ৩১টিতে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়।
২০০৩ সালে বাংলাদেশে এ কাজের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদফতর (ডিপিডিটি) যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে একে পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদফতর (ডিপিডিটি) নামে অভিহিত করা হয়। শিল্প মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগের ফলে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (নিবন্ধন ও সুরক্ষা) আইন, ২০১৩ পাস হয়।
এর দুই বছর পর ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য বিধিমালা, ২০১৫ প্রণয়ন করা হয়। ২০১৬ সালে জামদানি শাড়িকে বাংলাদেশে প্রথম জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।
সম্প্রতি অনুমোদিত তিনটি পণ্য- টাঙ্গাইল শাড়ী, নরসিংদীর অমৃতসাগর কলা ও গোপালগঞ্জের রসগোল্লার অনুমোদনের কপি ও জার্নাল ১১ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা।
ভাষার মাসের শুরুর দিনে (১ ফেব্রুয়ারি) ভারতের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেজ থেকে টাঙ্গাইল শাড়ির স্বত্ব বিষয়ে একটি পোস্ট দেয়া হয়। এতে দাবি করা হয়, টাঙ্গাইল শাড়ির উৎপত্তি ভারতের পশ্চিমবঙ্গে। পোস্টে আরও বলা হয়েছে, ‘টাঙ্গাইল শাড়ি, পশ্চিমবঙ্গ থেকে উদ্ভূত, একটি ঐতিহ্যবাহী হাতে বোনা মাস্টারপিস। এর মিহি গঠন, বৈচিত্র্যময় রং এবং সূক্ষ্ম জামদানি মোটিফের জন্য বিখ্যাত—এটি এই অঞ্চলের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীক।’
ভারতীয় ভৌগলিক নির্দেশক রেজিস্ট্রি দফতর বলছে, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য হ্যান্ডলুম উইভারস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের একটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে টাঙ্গাইল শাড়িকে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে নিবন্ধিত করা হয়েছে।
এরপরই বিষয়টি নিয়ে অনলাইন ও অফলাইনে শুরু হয় তুমুল বিতর্ক ও সমালোচনা। পরে অবশ্য পোস্টটি ফেসবুক থেকে সরিয়ে ফেলে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। দাবি উঠেছে বিশ্ব মেধাসম্পদ সংস্থায় এ বিষয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যেন অভিযোগ জানানো হয়।
এএ