সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ঘেরাওয়ের ঘোষণা এজেন্টদের

সানবিডি২৪ আপডেট: ২০২৪-০২-১৯ ১৪:৪৯:৪০


এজেন্টদের সমস্যার সমাধান না করলে আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ঘেরাও দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে সোনালী এজেন্ট ব্যাংকিং অ্যাসোসিয়েশন (সাবা)। এজেন্টদের যেসব সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কথা বলে সার্কুলার দেয়া হয়েছিল গত দুই বছর থেকে সেসব সুযোগ-সুবিধা দেয়নি সোনালী ব্যাংক।

একইসঙ্গে ব্যাংকের সার্ভার ঠিকমতো কাজ না করায় সেবা প্রদানে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে এজেন্টদের। এ কারণে সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন থেকে এই ঘোষণা দেন সাবার সভাপতি যতীন্দ্রনাথ বিশ্বাস।

তিনি বলেন, সোনালী ব্যাংক আমাদের নিয়োগ দেয়ার সময় যেসব সরঞ্জামাদি দেয়ার আশ্বাস দিয়েছিল তার কিছুই দেয়নি। এমনকি সবসময় ব্যাংকের সার্ভার ডাউন থাকে। সার্ভার ঠিকমতো কাজ না করায় সেবা প্রদানে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এতে গ্রাহক আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এমন পরিস্থিতিতে আমরা সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান এমডিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে বারবার দেখা করে কথা বললেও তারা এর সমাধান করেনি। তারা প্রতিবারই আশ্বাস দিয়ে আমাদের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে। এজন্য বাধ্য হয়ে আমরা এখন আন্দোলনে নেমেছি।

এ সময় সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহাব বাবু বলেন, তিন থেকে চার মাসের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তারা পুলিশ ভেরিফিকেশনসহ সব ধরনের কার্যক্রমই পরিচালনা করেছে। এরপর আমাদের ১ হাজার ২০০ এজেন্ট থেকে ৪৭৮ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, কোনো নোটিশ ছাড়াই সেখান থেকে মাত্র ২২৭ জনকে রেখে বাকিদের বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। এরপর আমাদেরকে প্রধান কার্যালয়ে ডেকে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করে। ইংরেজিতে লেখা ওই চুক্তিপত্র আমাদেরকে পড়ে দেখতে দেওয়া হয়নি। জোর করে আমাদের ওই চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করায় সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। পরে আমরা জানতে পারি, সার্কুলারে যে কমিশনসহ সুযোগ-সুবিধার কথা উল্লেখ ছিল, চুক্তিপত্রে কৌশলে সেগুলো কমিয়ে দেয়া হয়েছে। তবুও আমরা কাজ শুরু করেছি।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নেয়ামতুল্লাহ বলেন, প্রতিজন এজেন্ট ইতোমধ্যে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। দিন যত যাচ্ছে ক্ষতির মাত্রাও বাড়ছে। সার্ভার সমস্যার কারণে আমরা মানুষের সেবা দিতে গিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছি।

এ সময় সংগঠনটির উপদেষ্টা নেয়ামুল আহসান পামেলা বলেন, সার্ভার সমস্যার কারণে সোনালী ব্যাংকের এজেন্টরা মানুষদের সেবা দিতে পারছে না। জালিয়াতি ও প্রতারণা করে সোনালী ব্যাংক আমাদের স্বপ্নভঙ্গ করেছে। আমরা প্রতিমাসে কমপক্ষে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি। এই ক্ষতি আমরা কিভাবে কাটিয়ে উঠবো? তাই আমাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। তা না হলে আমরা দুদকের কাছে শরণাপন্ন হতে বাধ্য হবো।

এম জি