গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে ২৯ হাজার ছাড়িয়েছে নিহতের সংখ্যা

সানবিডি২৪ প্রকাশ: ২০২৪-০২-২০ ০৯:৪৪:৫৯


দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসনে প্রতিদিনই শত শত ফিলিস্তিনি নিহত হচ্ছে। জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে শিশুমৃত্যুর সংখ্যা ইতোমধ্যেই সহনীয় মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশ গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে। একই সঙ্গে রাফায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সতর্ক করা হয়েছে। খবর আল জাজিরার।

এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব রাখা হয়েছে। গাজায় অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং সেখানে ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের আহ্বান জানানো হবে। গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে কমপক্ষে ২৯ হাজার ৯২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশই নারী এবং শিশু। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৬৯ হাজার ২৮ জন।

এদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলে আরও এক সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। তার পরিচয় প্রকাশ করা হয়েছে। ওই সেনার নাম সার্জেন্ট সিমোন স্লোমোভ, বয়স ২০ বছর। গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ২৩৫ জন সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপর থেকেই গাজায় অভিযানের নামে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।

এর আগে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের হাতে জিম্মি থাকা লোকজনকে মুক্তি দেওয়ার সময় বেঁধে দিয়েছে ইসরায়েল। আগামী ১০ মার্চের মধ্যে সব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। ইসরায়েলের যুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রিসভার সদস্য বেনি গান্তজ হুঁশিয়ারি দিয়েছে বলেছেন, হামাস যদি এই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গাজায় আটক সব জিম্মিকে মুক্তি না দেয় তবে রাফায় তীব্র আক্রমণ চালানো হবে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, হামাসের হাতে জিম্মিদের কোথায় রাখা হয়েছে সে বিষয়ে তাদের কাছে তথ্য রয়েছে। নাসের হাসপাতালে তাদের অভিযানকে সুনির্দিষ্ট এবং সীমিত হিসাবে বর্ণনা করেছে আইডিএফ। ইসরায়েলের দাবি ওই হাসপাতালকে সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহার করছে হামাস।

ইসরায়েলের সাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী গান্তজ রোববার এক বিবৃতিতে বলেন, বিশ্বকে অবশ্যই জানতে হবে এবং হামাস নেতাদের অবশ্যই জানা উচিত যে, যদি রমজানের মধ্যে আমাদের জিম্মিরা বাড়ি ফিরতে না পারে তবে রাফাসহ সর্বত্র তীব্র লড়াই চলবে।

এনজে