মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল: প্রধানমন্ত্রী
সানবিডি২৪ প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২৪-০২-২১ ১৮:১০:৫০
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নিজের ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষার মাধ্যমেই জাতি উন্নত জীবন পেতে পারে। ৭৫ এর পর মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু এখন আর সেদিন নেই, ইতিহাস আপন আলোয় উদ্ভাসিত।
তিনি বলেন, স্মার্ট হতে গেলে ইংরেজিতে কথা বলতে হবে তা ঠিক নয়। তবে কর্মক্ষেত্রের প্রয়োজনে অনেক ভাষা শেখা দরকার। শিক্ষার মাধ্যমটা মাতৃভাষায় হওয়া উচিত, তার সঙ্গে শিশুদের আরও দু-তিনটি ভাষা শেখানোর দরকার। বাংলাকে সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। এজন্য আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট ও বাংলা একাডেমিকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকালে মাতৃভাষা দিবসে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, হঠাৎ টাকা-পয়সার মালিক হয়ে যাওয়া কিছু মানুষ মনে করেন ছেলে-মেয়েরা ইংরেজিতে কথা বললে খুবই দক্ষ হয়ে গেল। ইংরেজিতে কথা বলে স্মার্ট হয়ে গেল। ছয় হাজার বিদেশি শব্দ রয়েছে, যেটা সহজে গ্রহণ করা যায়। কিন্তু স্মার্ট হতে হলে শুধুমাত্র একটা ভাষা শিখতে হবে এবং সে ভাষায় কথা বলতে হবে আমি সেটা বিশ্বাস করি না। নিজের ভাষা শিখে অন্যের ভাষাও শেখা যায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগ ও আন্দোলনের ফলেই রাষ্ট্রভাষা বাংলা পেয়েছি। জীবন জীবিকার প্রয়োজনে মানুষকে অনেক ভাষা শিখতে হয়। কিন্তু মাতৃভাষাকে লালন ও চর্চা করা একটি জাতির মূল কর্তব্য।
শেখ হাসিনা বলেন, মাতৃভাষায় শিক্ষা নিতে পারলে তা অনেক সহজ হয়। কর্মক্ষেত্রের প্রয়োজনে অনেক ভাষা শেখা দরকার। শিক্ষার মাধ্যমটা মাতৃভাষায় হওয়া উচিত, তার সঙ্গে শিশুদের আরও দু-তিনটি ভাষা শেখানোর দরকার।
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, স্মার্ট হতে গেলে ইংরেজিতেই কথা বলতে হবে তা নয়। আমি একমাত্র বাংলা ভাষাটাই ভালো জানি। ইংরেজি তেমন ভালো পারি না। কিন্তু এখন বলতে গেলে শুধু খেয়াল রাখি, অন্যরা আমার ভাষা বুঝতে পারে কি না।
ইতিহাস জানার পরামর্শ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছিল। পঁচাত্তরের পর এমন সময় এসেছিল, আমরা যে বিজয়ী জাতি তাই ভুলিয়ে দেয়া হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের ভাষা নিয়ে কাজ করার জন্য আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট করা হয়েছে। ভাষা নিয়ে গবেষণা করতে হবে। বাংলাভাষা আরও এগিয়ে নেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট ও বাংলা একাডেমিকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে।
এর আগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে মুজিব শতবর্ষ জাদুঘর ও আর্কাইভের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এম জি