নেতাকর্মীদের নিয়ে এবার প্রকাশ্যে বুয়েটে ঢুকল ছাত্রলীগ

আপডেট: ২০২৪-০৩-৩১ ১৭:৩৬:৩০


বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্র রাজনীতি ফেরানোর দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করার পর প্রকাশ্যেই নেতাকর্মীদের নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান।

রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে কয়েকশ নেতাকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে বুয়েট শহীদ মিনারে ফুল দেন তারা। সেখানে ফুল দেওয়ার পর অল্প সময়ের মধ্যে বুয়েট ত্যাগ করেন। এ সময় বুয়েটের মূল ফটক এবং বিভিন্ন হলের প্রবেশ পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়।

তিন দিন আগে গভীর রাতে বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ নেতাদের প্রবেশের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পাল্টায় রোববার ক্যাম্পাসে ঢুকে নিজেদের শক্তির জানান দিল সরকার সমর্থক ছাত্র সংগঠনটি।

দুপুরে বুয়েট ক্যাম্পাসে যাওয়ার আগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি ফেরানোর দাবি ‘আলটিমেটাম’ দেন ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।

তিনি বলেন, বুয়েট প্রশাসনের কাছে আমাদের আহ্বান থাকবে, অনতিবিলম্বে ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি চালু করতে হবে। যে নিয়ম আপনারা শুরু করেছেন সেটি কালাকানুন, সেটি কালো আইন। বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করার কোনো আইন নাই। যদি থেকেও থাকে সেটি সংবিধানবিরাধী। আমরা আজ শহীদ মিনার থেকে বুয়েট প্রশাসনকে আলটিমেটাম দিচ্ছি, অনতিবিলম্বে ছাত্ররাজনীতি চালু করতে হবে। স্বল্পতম সময়ের মধ্যে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিতে হবে। বুয়েট শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম রাব্বির সিট ফিরিয়ে দিতে হবে।

২০১৯ সালে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার পর আন্দোলনের মুখে ওই ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ হয়। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি, দপ্তর সম্পাদকসহ অনেকে বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে এর প্রতিবাদে শুক্রবার থেকে ফের আন্দোলন শুরু হয়।

শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিমালা লঙ্ঘন করে পুরকৌশল বিভাগের ২১তম ব্যাচের ছাত্র ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম এ সমাগম ঘটান।

এ ঘটনায় শুক্রবার বিকালে বুয়েটের শহীদ মিনারের সামনে শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলন করেন। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালকের (ডিএসডব্লিউ) কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিক্ষোভ দেখান।

এরপর রাতে বুয়েটের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ফোরকান উদ্দিনের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ইমতিয়াজ হোসেন রাহিমের হলের সিট বাতিল করা হয়। পাশাপাশি বিষয়টি তদন্তে কমিটি গঠন করে ৮ এপ্রিলের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।

ইমতিয়াজকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করাসহ ছয় দফা দাবিতে রোববার সকাল থেকে ফের বিক্ষোভের ঘোষণা দিয়েছিলেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। তবে রোববার সকাল থেকে ক্যাম্পাসে তাদের কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি।

এএ