লঞ্চ উদ্ধার, নিহত বেড়ে ১৮
আপডেট: ২০১৬-০৯-২২ ১৬:৩৬:১৯
বরিশালের বানারীপাড়ায় সন্ধ্যা নদীতে ডুবে যাওয়া লঞ্চটি উদ্ধার হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে লঞ্চটি উদ্ধার করে উদ্ধারকারী জাহাজ ‘নির্ভীক’। এ সময় চারটি শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।।
এর আগে ভোর ৪টার দিকে ঘটনাস্থল বানারীপাড়ার দাসেরহাটের মসজিদবাড়ি ঘাটে পৌঁছায় ‘নির্ভীক’। তারা সকাল ৮টার দিকে উদ্ধারকাজ শুরু করে। মাত্র ৪০ মিনিটে ডুবে যাওয়া লঞ্চটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক ফারুক হোসেন বলেন, সকাল পৌনে ৯টার দিকে লঞ্চটি উদ্ধার হয়েছে। এ সময় চার শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। আরো নিখোঁজ আছে কি না, তা এই মুহূর্তে জানানো যাচ্ছে না।
এদিকে লঞ্চডুবির ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেনকে প্রধান করে ৯ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বুধবার দুপুর ১২টার দিকে বানারীপাড়া থেকে ‘এমএল ঐশী’ নামের একটি লঞ্চ উজিরপুর যাওয়ার পথে সন্ধ্যা নদীর দাসেরহাটের মসজিদবাড়ি ঘাটে যাত্রী ওঠানোর সময় ডুবে যায়। এ ঘটনায় ১৮ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
বিআউডব্লিউটিএ’র নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের উপ-পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমানের দেয়া তথ্যানুযায়ী এরা হলেন, বানারীপাড়ার মজিবর রহমানের স্ত্রী কহিনুর বেগম (৪০), মজিদ মাষ্টারের স্ত্রী সালেহা বেগম (৬০), উজিরপুরের কেশবকাঠী এলাকার অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা আঃ রাজ্জাক (৭৫), বানারীপাড়ার সাঈদ আলীর স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৪৫), মৃতঃ চান্দু মিঞার স্ত্রী রাবেয়া বেগম (৪৫), মৃতঃ ইসমাইল মোল্লার ছেলে মুজাম্মেল মোল্লা (৬২), রহিম হাওলাদারের স্ত্রী রেহানা বেগম (৩৫), উজিরপুরের মনিন্দ্রনাথ মল্লিকের ছেলে সুখদেব মল্লিক (৩৫), বানারীপাড়ার আবুল ঘরামীর ছেলে মিলন ঘরামী (৩২), মোঃ সাগর মীর (১৫), উজিরপুরের সিরাজুল ইসলামের ছেলে জয়নাল হাওলাদার (৫৫), বানারীপাড়ার আঃ মজিদ’র স্ত্রী ফিরোজা বেগম (৫৫), উজিরপুরের সিদ্দিকুর রহমানের শিশু মেয়ে শান্তা (৭) এবং স্বরুপকাঠীর কামাল হোসেনের স্ত্রী হিরা বেগম।
এছাড়া বৃহস্পতিবার সকালে আরও চার শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। এরা হলো- লাশ উদ্ধার হওয়া খুকু মনির (মিলন ঘরামী’র স্ত্রী) ছেলে সাফওয়ান (৩), লাশ উদ্ধার হওয়া রেহানা বেগমের ছেলে রিয়াদ হাওলাদার (৫), উজিরপুরের সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে রাফি (৭), এবং বানারীপাড়ার আলমগীর হোসেনের শিশু মেয়ে মারিয়া বেগম (৩)।
ঘটনাস্থলে কর্মরত বিআইডব্লিউটিএ এবং পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী নিখোঁজ রয়েছে লঞ্চের আরও অন্তত ৯ জন যাত্রী।