সব কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার
প্রকাশ: ২০২৪-০৮-০৯ ২২:৫২:৪৪
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৬ কোম্পানির ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস (সর্বনিম্ন সীমা) প্রত্যাহার করে নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এতে করে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সব কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে এরমধ্যে ৩ কোম্পানির উপর থেকে আগামী কার্যদিবস অর্থাৎ রোববার থেকেই। আর বাকি ৩টির উপর ১৪ আগস্ট থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
কমিশনের নতুন সিদ্ধান্তে আগামী রোববার থেকে বেক্সিমকো, খুলনা পাওয়ার ও শাহজিবাজার পাওয়ারের উপর থেকে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার হবে। আর আগামী ১৪ আগস্ট থেকে বিএসআরএম লিমিটেড, ইসলামী ব্যাংক ও মেঘনা পেট্রোলিয়ামে ফ্লোর প্রাইস থাকবে না।
এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি ৬টি কোম্পানির উপর থেকে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করে নিয়েছিল কমিশন। এরমধ্যে রেকর্ড ডেটের দিন ফ্লোর উঠে বৃটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, গ্রামীণফোন ও রবি আজিয়াটার। আর আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, ওরিয়ন ফার্মা ও রেনেটার উপর থেকে তাৎক্ষনিক তুলে নেওয়া হয়।
এর আগে গত ২২ জানুয়ারি ২৩ কোম্পানির উপর থেকে ফ্লোর প্রাইস (সর্বনিম্ন সীমা) প্রত্যাহার করে নেয় কমিশন। যার আগে গত ১৮ জানুয়ারি ৩৫টি রেখে বাকি সব কোম্পানির উপর থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নিয়েছিল কমিশন। যার পরে ২ কার্যদিবসের মাথায় বা ২২ জানুয়ারি ওই ৩৫টির মধ্য থেকে ১২টি রেখে ২৩টি থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয় কমিশন।
উল্লেখ্য, শেয়ারবাজারে লাগাতার পতন ঠেকাতে না পেরে, গত চার বছরে কয়েক দফায় শেয়ারে ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। প্রথমবার ২০২০ সালে মার্চে ফ্লোর প্রাইস আরোপ করলেও তুলে নেওয়া হয় ২০২১ সালের জুলাইয়ে। এরপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে ২০২২ সালের জুলাইয়ে আবারও ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে বিএসইসি। এ পর্যায়ে শেয়ার লেনদেন ব্যাপক কমে গেলে সমালোচনায় পড়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
এএ