শুরুতে স্মার্ট কার্ড পাবেন ৫০ লাখ ভোটার
প্রকাশ: ২০১৬-০৯-২৭ ১৬:৫১:০৩
জাতীয় পরিচয়পত্রের স্মার্ট কার্ড প্রকল্প শুরুর প্রায় পাঁচ বছর পর সুফল পেতে যাচ্ছে ভোটাররা। ২ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। প্রাথমিকভাবে রাজধানী ও পরে সারাদেশের ভোটারদের হাতে পৌঁছে যাবে এই কার্ড। এই কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে তথ্য জালিয়াতি বা ভুয়া কার্ডের ব্যবহার বন্ধ করা সম্ভব হবে বলে আশা করছে নির্বাচন কমিশন।
২০১১ সালে ‘আইডিয়া’ প্রকল্পের আওতায় মেশিন রিডেবল আধুনিক জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্ট কার্ড তৈরির কাজ শুরু হয়। শুরুতে প্রকল্পটি ১৮ মাসের মেয়াদে থাকলেও পরে তা বাড়তে থাকে।
অবশেষে প্রায় পাঁচ বছর পর ভোটাররা পেতে যাচ্ছেন এই স্মার্ট কার্ড। কার্ডে ব্যক্তির ২৫ ধরনের তথ্য সুরক্ষিত থাকবে যার ফলে জালিয়াতি কমবে বলে আশা কমিশনের।
পাইলট প্রকল্পের আওতায় ৩ অক্টোবর থেকে রাজধানীর উত্তরা ও রমনা থানা এবং কুড়িগ্রামের নির্দিষ্ট এলাকার ভোটারদের জন্য প্রায় ১৫ হাজার কার্ড বিতরণ শুরু হবে। এরপর রাজধানীর প্রায় ৫০ লাখ ভোটারকে কার্ড দেয়া শেষে শুরু হবে অন্যান্য জেলায় বিতরণ।
একজন ব্যক্তি যে এলাকায় ভোটার তিনি সেখানেই তার স্মার্ট কার্ড পাবেন। বিতরণের সময় আবারো ১০ আঙ্গুলের ছাপ এবং চোখের আইরিশের ছবি নেয়া হবে।
একটি কার্ড তৈরিতে আধুনিক মেশিনের ব্যবহার ও অন্যান্য বৈশিষ্ট্য মিলিয়ে অনেক খরচ পড়ে তাই এই কার্ডের নকল করা কঠিন হবে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।
দেশের প্রায় ১০ কোটি ভোটার ২০১৭ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই পাবেন স্মার্ট কার্ড। এছাড়া মোবাইল ফোন থেকে ওয়ান-জিরো-ফাইভ নম্বরে নিজের জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর এসএমএস করলে জানা যাবে কোন এলাকা থেকে কখন স্মার্ট কার্ড পাওয়া যাবে।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস