আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সব প্রসিকিউটরের পদত্যাগ

সানবিডি২৪ আপডেট: ২০২৪-০৮-১৭ ১২:৫৫:৪৫


আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন প্যানেল থেকে চিফ প্রসিকিউটরের পর রাষ্ট্রপক্ষের সব আইনজীবী পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। সর্বশেষ দুই আইনজীবী পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন ।

শনিবার (১৭ আগস্ট) এ তথ্য নিশ্চিত করে করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনের অন্যতম সদস্য হিসেবে পদত্যাগকারী অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত।

সর্বশেষ পদত্যাগকারী দুই আইনজীবী হলেন- প্রসিকিউটর ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান (অবৈতনিক) ও প্রসিকিউটর সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নী।

তাদের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তথা প্রসিকিউশন টিম থেকে ১৩ জন পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। এখন অবশিষ্ট আর কোনো প্রসিকিউটর ট্রাইব্যুনালে নেই।

এ বিষয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাসুদ রানা বলেন, এর আগে দায়িত্বরত চিফ প্রসিকিউটরসহ চারজন প্রসিকিউটর পদত্যাগ করেছিলেন। তারা হলেন- সিনিয়র আইনজীবী সৈয়দ হায়দার আলী, অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত, অ্যাডভোকেট জাহিদ ইমাম ও ব্যারিস্টার শেখ মোশফেক কবীর। এ নিয়ে প্রসিকিউটর পদত্যাগের সংখ্যা ছিল ৮ জন।

গত ১৩ আগস্ট এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাসুদ রানা।

তিনি জানান, ১২ আগস্ট সকালে প্রথমে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন প্যানেল থেকে পদত্যাগ করেছেন চার প্রসিকিউটর। চারজন প্রসিকিউটর হলেন- শাহিদুর রহমান, আবুল কালাম আজাদ, রেজিয়া সুলতানা চমন এবং আলতাফ উদ্দিন আহম্মেদ।

প্রসিকিউশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাসুদ রানা আরও জানান, মঙ্গলবার রাতে অ্যাডভোকেট জাহিদ ইমাম ও ব্যারিস্টার শেখ মোশফেক কবীর পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন।

এছাড়া মঙ্গলবার সকালে দুজন সিনিয়র প্রসিকিউটর( দায়িত্বরত চিফ) অ্যাডভোকেট সৈয়দ হায়দার আলী ও রানা দাশগুপ্ত তানাদের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। পরে ১৪ আগস্ট প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সিমন ও প্রসিকেটর মোহাম্মদ মুখলেসুর রহমান বাদল ও ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল তাদের পদত্যাগ পত্র জমা দেন।

স্বাধীনতার ৩৯ বছর পর মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ২০১০ সালের ২৫ মার্চ। পরে ২০১২ সালের ২২ মার্চ ট্রাইব্যুনাল-২ নামে আরেকটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর দুটিকে একীভূত করে আবার একটি ট্রাইব্যুনাল করা হয়। এখন একটি ট্রাইব্যুনালে (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১) চলছে বিচারকাজ।

বিএইচ