এনবিআরে আর কোনো দুর্নীতিবাজকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না: নতুন চেয়ারম্যান
সানবিডি২৪ প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২৪-০৮-১৮ ১৪:২৫:৫৭
এনবিআরে আর কোন দুর্নীতিবাজকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির নতুন চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
রোববার (১৮ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান এনবিআরের নতুন চেয়ারম্যান।
দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে নতুন চেয়ারম্যান বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি ফোকাস পাবে এনবিআরে এ ধরণের দুর্বৃত্ত যেনো তৈরি না হয় তার দিকে। প্রিভিনটিভ মেজারটা নিতে হবে। সেটাই বেশি জরুরি। এ রকম যেনো আর ফ্র্যাকেনস্টাইন যেনো তৈরি না হয়।’
তিনি বলেন-‘অন্যায়, অবিচার যেগুলো ধরা পড়বে, যেগুলোর ইঙ্গিত আসবে,প্রত্যেকটাই অত্যন্ত শক্ত হাতে দেখবো। খুব কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এ যায়গায় কোন ব্যত্যয় হবে না। তবে ধীরে ধীরে সব হবে। দুর্নীতিবাজদের খুব শক্ত বার্তা দেওয়া হয়েছে। যদি তারা নিজেদের পরিবর্তন করতে না পারে তাহলে তারা থাকবে না।’
রুল অব ল না থাকার কারণে এ ধরণের দুর্বৃত্ত তৈরি হয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘একজন ব্যক্তি বললো সব হয়ে গেলো। আইন কানুন এক পাশে রেখে, এভাবে হবে না। আমরা নিয়ম অনুযায়ী চলবো। নিয়ম না থাকলে, নিয়ম বানাবো। কিন্তু নিয়ম বা আইনের বাইরে যাবোনা। অর্থপাচার রোধে এনবিআর কাজ শুরু করছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা স্ট্রংলি এটা দেখছি। তবে একটু সময় দিতে হবে। আমরা এখনই একেবারে হুড়মুড় করে পড়বোনা।
আবদুর রহমান খান আরও বলেন, পলিসিগত সমস্যার কারণে অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে কাঙ্ক্ষিত বিনিয়োগ পাওয়া যায়নি। এখানে পরিবর্তন আনতে হবে। এনবিআর নেতিবাচক ইমেজ আছে, সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। গণ অব্যত্থানের যেই স্প্রিরিট দুর্নীতি মুক্ত ও বৈষম্য মুক্ত সমাজ গড়া এটা আমাদের ধারণ করতে হবে।
আবদুর রহমান খান বলেন, আমাদের ইমেজ সংকট আছে যে আমরা তথ্য ঠিকভাবে সংগ্রহ করতে পারি না, যা বাংলাদেশ ব্যাংক বা অডিট অধিদপ্তরের সাথে গরমিল দেখা যায়। এখন থেকে এই বৈষম্য দূর করা হবে। আইবাস থেকে তথ্য প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এখন থেকে সমন্বিত তথ্য পরিবেশন করা হবে। রাজস্ব আহরণের একটাই ফিগ্যার হবে।
এনবিআরে সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এনবিআর অটোমেশন করা হবে৷ এটাই আমার মূল কাজ। টোট্যাল ফাংসন কে অটোমেশন করতে পারলে, হিউম্যান টাস্ক কমাতে পারলে সবাই এর সুবিধা পাবে। আমাদের আইনে কিছু দুর্বলতা আছে। কিন্তু আইন প্রয়োগে কিছু দুর্বলতা আছে, ঘাটতি আছে। সে কারণে আমাদের রাজস্ব আদায় কম হচ্ছে। সেখানেও কাজ করতে হবে। কালো টাকা সাদার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার ব্যক্তিগত অভিমত হল এটা অত্যন্ত অশোভন কাজ। টোট্যালি আন এক্সেপ্টিবিল। কালো টাকা সাদা করার মাধ্যমে দুর্নীতি কে স্বীকার করে নিচ্ছি। সৎ কর্মকর্তাকে ডিমোরালাইজড করছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে এটার বিরোধীতা করি।
এম জি