নদী দূষণ রোধে রাজধানীতে ছয় ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট
প্রকাশ: ২০১৬-১০-০১ ১৬:২৬:২০
রাজধানীসহ সারাদেশের শহর এলাকায় স্যানিটেশন ব্যবস্থা উন্নত করতে ছয়টি ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। এই ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট তৈরি করে রাজধানীর সব স্যানিটেশন বর্জ্য পরিশোধন করে বিশুদ্ধ পানি নদীতে ফেলা হবে।
শনিবার (০১ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল ভবনে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। জাতীয় স্যানিটেশন মাস উপলক্ষে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বর্জ্য পরিশোধনে ঢাকায় ছয়টি ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি ট্রিটেমন্ট প্ল্যান্ট শুরু করা হয়েছে। এছাড়া আরো একটির প্রক্রিয়ায় রয়েছে। বাকি চারটির জন্য অর্থায়ন সহযোগিতা খোঁজা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী মো. ওয়লী উল্লাহ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্মসচিব মো. মাহাবুব হোসেন, উপসচিব মো. খাইরুল ইসলাম, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (পূর্ত) শহীদ ইকবাল, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (পানি সম্পদ) মো. দেলোওয়ার হোসেন এবং ইউনিসেফের প্রতিনিধি জাকারিয়া।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, রাজধানীর স্যুয়ারেজ লাইন থেকে স্যানিটেশন বর্জ্য একটি লাইনে নিয়ে ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে নেওয়া হবে। এরপর তা পরিশোধন করে রাজধানীর নদীগুলোতে ফেলা হবে।
এদিকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে রাজধানীর সায়েদাবাদ এলাকায় একটি ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট শুরু করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, স্যুয়ারেজ লাইনের বর্জ্য পানির ড্রেনে ফেলা হয়। আর পানির লাইনের বর্জসহ সব পানি ফেলা হয় নদীতে। এখনও বুড়িগঙ্গাসহ অন্যান্য নদনদী এভাবে দূষণ হচ্ছে। এই দূষণ ঠেকাতেই এ পরিকল্পনা করছে সরকার।
লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, বর্তমানে বাংলাদেশে এক শতাংশ মানুষ উন্মুক্ত স্থানে মলত্যাগ করে। শতকরা ৬১ শতাংশ মানুষের উন্নত স্যানিটেশন ব্যবস্থা রয়েছে, যৌথ ল্যাট্রিন ব্যাবহার করে ২৮ শতাংশ মানুষ। এর মধ্যে ১০ শতাংশ মানুষ অনুন্নত ল্যাট্রিন ব্যবহার করে।