অপহরণের পর শিশু উদ্ধার, দম্পতি গ্রেফতার
প্রকাশ: ২০১৬-১০-০২ ১১:০৩:৪৪
ঢাকার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের একটি পল্টুন থেকে মুক্তিপণের দাবিতে অপহরণের পর এক শিশুকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করাসহ ঘটনার সঙ্গে জড়িত এক দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার ভোরে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের একটি পল্টুন থেকে অপহরণের স্বীকার হয় ঝালকাঠি জেলার মরিচবুনিয়ার কাঁঠালিয়া এলাকার প্রবাসী মো. ফারুক খাঁনের ছেলে মো. রিফাত খাঁন (১৩)।
শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের খেঁজুরবাগ টিনের মসজিদ রোড এলাকার একটি তিনতলা ভবনের নিচ তলার একটি কক্ষ থেকে এ ঘটনায় জড়িত এক দম্পতিকে গ্রেফতার ও অপহৃত শিশুটিকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান রাজধানীর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. পারভেজ। গ্রেফতাররা হলেন- শরিয়তপুর জেলার মনিরকান্দি চোরবাঘা এলাকার মৃত আজিজ গাজীর ছেলে মো. সাগর গাজী (৩৩) ও তার স্ত্রী নাসিমা গাজী (২৮)।
এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ওই তিন তলা ভবনের মালিকের ছেলে বাতেন হাওলাদার পলাতক রয়েছেন বলে ওই পরিদর্শক জানান।
তিনি জানান, শিশু রিফাতের বাবার আগামী মঙ্গলবার বিদেশ থেকে বাংলাদেশে ফেরার কথা রয়েছে। পরিবারের লোকজন বাবাকে নেওয়ার জন্য ঢাকায় আসতে না দেওয়ায় রিফাত নিজেই লঞ্চে করে শনিবার ভোরে ঢাকার সদরঘাটের পল্টুনে এসে তার সঙ্গে থাকা মামার মোবাইল নম্বরে ফোন করে তাকে নিয়ে যেতে বলে পল্টুনে একাকী বসে থাকে।
এ সময় অপহরণকারী সাগর এসে রিফাতকে বলে এই ছেলে তুমি এখানে বসে আছো কেন। রিফাত বলে আমাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমি আমার মামাকে ফোন করেছি সে আসছে। তখন অপহরণকারী তার কাছ থেকে তার মামার নম্বর নিয়ে মোবাইলে ফোন করে কথা বলে রিফাতকে বলে তোমার মামা তার কাছে তোমাকে নিয়ে যেতে বলেছে বলে কৌশলে তাকে অপহরণ করে কেরানীগঞ্জের খেঁজুরবাগ এলাকার ওই তিনতলা ভবনের নিচ তলার একটি কক্ষে নিয়ে আটকে রেখে তার মামাকে ফোন করে জানায় আপনার ভাগিনাকে অপহরণ করা হয়েছে।
তারপর অপহরণকারী সাগর রিফাতের মামার মোবাইলে ফোন করে রিফাতের মুক্তিপণ বাবদ পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে। একতরফা পঁচিশ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে পাঠানো হলে বাকি টাকা পাঠাতে বলে ওই অপহরণকারী।
পরে শিশুটির মামা কোতোয়ালি থানায় এসে ঘটনার বিস্তারিত খুলে বললে প্রযুক্তিগত মাধ্যম ব্যবহার করে পুলিশ অপহরণকারীদের অবস্থান শনাক্ত করে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে ও শিশু রিফাতকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় একটি মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস