ফ্রিজে ১ বছরের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টির দিল ওয়ালটন

প্রকাশ: ২০১৬-১০-০৯ ১২:৩৪:০৫


waltonএবার ওয়ালটন রেফ্রিজারেটরে এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি ঘোষণা করা হলো। আগে ওয়ালটন ফ্রিজে রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি ছিলো ৬ মাসের। চলতি অক্টোবরের প্রথম দিন থেকে সারা দেশে কার্যকর হয়েছে এই অফার।

গতকাল শনিবার (৮ অক্টোবর) এ উপলক্ষ্যে এক ডিক্লারেশন প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়। রাজধানীর মতিঝিলে ওয়ালটন মিডিয়া অফিসের কনফারেন্স হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বর্ধিত এই রিপ্লেসমেন্ট সুবিধার ঘোষণা দেয়া হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেনওয়ালটন গ্রুপের বিপণন বিভাগের প্রধান সমন্বয়ক ইভা রেজওয়ানা, বিপণন বিভাগের প্রধান এমদাদুল হক সরকার, পলিসি-এইচআরএম এ্যান্ড এডমিন বিভাগের প্রধান এসএম জাহিদ হাসান, পিআর এ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের প্রধান মোঃ হুমায়ুন কবীর, সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এর প্রধান মো: নিয়ামুল হক প্রমূখ।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ওয়ালটন ফ্রিজের মান আগের চেয়ে অনেক উন্নত হয়েছে। মান নিয়ন্ত্রণে নেয়া হচ্ছে জিরো টলারেন্স নীতি। দেশেই তৈরি হচ্ছে প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ ও কাঁচামাল। ফলে ৬ মাস থেকে এক বছরে উন্নীত হলো ফ্রিজের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি।
উল্লেখ্য, ওয়ালটন ফ্রিজের কম্প্রেসারে রয়েছে দীর্ঘ ১০ বছর পর্যন্ত রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি। আইএসও সনদপ্রাপ্ত সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এর আওতায় দেশব্যাপী দেয়া হচ্ছে দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা।

অনুষ্ঠানে আরো জানানো হয়, প্রধানত তিনটি কারণে এই সুবিধা বাড়ানো সম্ভব হয়েছে । প্রথমত, বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি ওয়ালটন ফ্রিজ দেশব্যাপী গ্রাহকদের আস্থার প্রতীকে পরিণত হয়েছে, ফলে গ্রাহকদের জন্য এটি একটি উপহার। দ্বিতীয়ত, উৎপাদন পর্যায়ে কঠোর মান নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। তৃতীয়ত, অত্যন্ত মেধাবী ও দক্ষ প্রকৌশলী কর্তৃক নিয়মিত গবেষণার মাধ্যমে পণ্য হয়েছে আরো টেকসই।

এসএম জাহিদ হাসান বলেন, উৎপাদিত ফ্রিজের উচ্চ গুণগত মান সম্পর্কে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস রয়েছে বলেই রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টির মেয়াদ ১ বছরে উন্নীত করা হয়েছে। নাসদাত টেস্টিং ল্যাব থেকে প্রতিটি পণ্য পরীক্ষা করে বাজারে ছাড়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

ইভা রেজওয়ানা বলেন, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে শক্তিশালী অবস্থান সৃষ্টিতে পণ্যের সর্বোচ্চমান নিশ্চিত করা হচ্ছে। যার ফলশ্রুতিতে, পণ্য মান সম্পর্কে গ্রাহকদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়েছে।

এমদাদুল হক বলেন, ওয়ালটন স্থানীয় বাজারে ক্রেতাদের চাহিদা, রুচি ও ক্রয়ক্ষমতা অনুযায়ী ’মেইড ইন বাংলাদেশ’ লেখা বিশ্বমানের পণ্য সরবরাহ করে গ্রাহকদের মাইন্ডসেটকে বদলে দিয়েছে। এখন, দেশীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটনের তৈরি ফ্রিজের প্রতিই গ্রাহকদের বেশি আস্থা।

নিয়ামুল হক বলেন, ওয়ালটন ফ্রিজ বছরের পর বছর নিশ্চিন্তে ব্যবহার করা যায়। সার্ভিস নিতে আসার পরিমাণ খুবই কম। আশা করি, রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি বাড়ানোর ফলে ক্রেতারাই বেশি লাভবান হবেন।

অনুষ্ঠানে আরো জানানো হয়, ওয়ালটনের আরএন্ডডি বিভাগের একদল মেধাবী, প্রশিক্ষিত এবং পরিশ্রমী প্রকৌশলী প্রতিনিয়ত গবেষণার মাধ্যমে ফ্রিজে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ ও কম্প্রেসারের মানোন্নয়নের জন্য দীর্ঘদিন যাবৎ কাজ করছেন। ইতোমধ্যে, শতাধিক প্রকৌশলী ইউরোপ থেকে উচ্চতর প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন। তারা বাংলাদেশের আবহাওয়া, বিদ্যুৎ পরিস্থিতি এবং ব্যবহারকারীদের আচরণ বা ব্যবহারের ধরণ অনুযায়ী ফ্রিজের মানোন্নয়ন করছেন।