কুড়িগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলি : আহত ৪
আপডেট: ২০১৬-১০-১৮ ১৭:৩৯:১৫
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার নওদাপাড়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ছোড়া গুলি ও ককটেল হামলায় চার বাংলাদেশি যুবক আহত হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন আনোয়ার হোসেনের ছেলে সাজু মিয়া (১৮), রেজাউল করিমের ছেলে রোকন উদ্দিন (২২), ফলুয়া করিমের ছেলে বাবলু মিয়া (২০) ও রুপচান্দের ছেলে মানিক (১৭)।
রৌমারী সদর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বার শাহ-আলম জানান, সদর ইউনিয়নের নওদাপাড়া গ্রামের ১২/১৩ জন যুবক সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার ১০৬৩ ও ১০৬৪ এর মাঝামাঝি নো-ম্যান্স ল্যান্ডে যায় ভারতীয়দের পাচার করে দেয়া গরু আনতে।
এ সময় ভারতের কুচনিমারী বিএসএফ ক্যাম্পের জোয়ানরা তাদের লক্ষ্য করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ৪/৫ রাউন্ড গুলি ও দুটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে ওই চারজন আহত হয়। আহতদের গোপনে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে মঙ্গলবার সকালে। এ ঘটনায় সীমান্তে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
গুলিবিদ্ধ রোকনের বাবা রেজাউল করিম স্বীকার করেন, তার ছেলে বিএসএফের গুলিতে আহত হয়ে এখন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি এর বেশি জানাতে রাজি হননি।
রৌমারী সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম সালু জানান, কাটাতারের উপর দিয়ে বিশেষ ধরনের মই বানিয়ে গরুকে বেঁধে ভারতীয় পাচারকারীরা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পাঠিয়ে দেয়।
এরপর বাংলাদেশি চোরাকারবারীরা ওই গরু নিয়ে আসে। পরে কাস্টমসের কাছ থেকে পশু প্রতি ৫০০ টাকা ফি দিয়ে করিডোর করে বৈধ করে নেয়। এই বিষয়গুলো সকল মহল জানলেও গোলাগুলির ঘটনা দুঃখজনক। ঘটনার পর ওই সীমান্তে বিজিবি ও বিএসএফ টহল জোরদার করেছে।
এ ঘটনায় বিজিবি’র বাংলাবাজার বিওপি কমান্ডার নায়েক সুবেদার আবু শহীদ বলেন, ঘটনা জানার পর থেকে ওই সীমান্ত এলাকায় টহল জোরদার করা হয়েছে।
রৌমারী সদর বিজিবি কোম্পানি কমান্ডার রফিকুল ইসলাম জানান, গোলাগুলি’র অভিযোগ শুনেছি। খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।