রাবিতে পুলিশি প্রহরায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ২০১৬-১০-১৯ ১০:১০:৪৯


RU.Rabiরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ছাত্রলীগ নেতার পরীক্ষা বন্ধ করে দেয়ার হুমকির পরও পুলিশি প্রহরায় ইনফরমেশন সায়েন্স এন্ড লাইব্রেরী ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত কড়া পুলিশি নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

গত সোমবার দুপুরে রাবি শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম সাদ্দাম সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ নেতাকর্মীদের নিয়ে বিভাগের সভাপতির কক্ষে যান। সেখানে তিনি চতুর্থ বর্ষের মঙ্গলবারের অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষায় অংশ নেয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন। কিন্তু সাদ্দামকে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার অনুমতি না দিলে তিনি সভাপতির সামনে পরীক্ষা বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দেয়।

বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সাদ্দাম ২০১০-১১ সেশনে ইনফরমেশন সায়েন্স এন্ড লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট বিভাগে ভর্তি হয়ে প্রথম বর্ষ শেষ করেন। এরপর তিনি দুই বর্ষ ড্রপ দেন। পরের বছর দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা দিয়ে পাশ করলেও তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেননি সাদ্দাম। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী সর্বোচ্চ ছয় বছরে ¯œাতক শেষ করার বিধান থাকলেও ৫ বছর শেষ হয়ে গেলেও সাদ্দাম এখনো তৃতীয় বর্ষে। সে অনুযায়ী তার ছাত্রত্ব বাতিল হয়ে গেছে।

পুলিশি নিরাপত্তা বিষয়ে বিভাগের সভাপতি ড. পার্থ বিপ্লব রায় বলেন, ‘ড্রপ আউট হওয়া আমাদের এক শিক্ষার্থী গতকাল সোমবার বিভাগে অনেক লোকজন নিয়ে এসে পরীক্ষা দিতে চায়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী তার ছাত্রত্ব না থাকায় তিনি পরীক্ষা দেওয়ার যোগ্য নয়। ওই শিক্ষার্থী যেন বিশৃঙ্খলা না করতে পারে এবং আজকের চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয় তাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানাই। তাই প্রশাসন নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মুজিবুল হক বলেন, ‘গতকাল রাতে উপাচার্য মহোদয় আমাকে ফোন করে বলেন, ইনফরমেশন সায়েন্স ও লাইব্রেরী ম্যানেজমেন্ট বিভাগের আজকের পরীক্ষা যেন সুষ্ঠুভাবে হয় সেটা একটু দেখেন। আর তাই আমি এখানে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছি।’

কাটাখালি পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. খালেদুর রহমান বলেন, ‘ইনফরমেশন সায়েন্স এন্ড লাইব্রেরী ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরীক্ষায় কোনো বিশৃঙ্খলা যাতে না হয় সেটা দেখতেই আজকে আমরা এখানে অবস্থান করছি।’

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদুল ইসলাম রাঞ্জু বলেন, ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দাম তার বিভাগে কি করেছে তা আমি জানি না। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সাদ্দামের ওই ধরণের কর্মকা- সমর্থন করেনি। তাই আমরা তার বিভাগে আর কোনো যোগাযোগ করিনি।

এদিকে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম সাদ্দামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

সানবিডি/ঢাকা/হৃদয়/ এসএস