সরবরাহ বাড়ায় বিশ্বব্যাপী কমেছে চালের দাম

সানবিডি২৪ প্রকাশ: ২০২৪-১০-০২ ১৪:৩৮:০৩


বর্তমানে ভারত বিশ্বে শীর্ষ চাল রফতানিকারক দেশ। শনিবার পুনরায় বাসমতি ছাড়া অন্যান্য সাদা চাল রফতানির অনুমোদন দিয়েছে দেশটির সরকার। এ অনুমোদনের পর সোমবার বিশ্বব্যাপী কমেছে চালের দাম। রফতানিকারকরা জানিয়েছেন, চাল রফতানির অনুমোদন দেয়ার পর বৈশ্বিক সরবরাহ বেড়েছে। এতে এশিয়া ও আফ্রিকার ব্যবসায়ীরা তুলনামূলক সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্যটি আমদানির সুযোগ পাবেন। খবর রয়টার্স।

কিছুদিনের মধ্যেই ভারতে নতুন মৌসুমের ফসল সংগ্রহ শুরু হবে। উৎপাদন বৃদ্ধি ও বিভিন্ন রাজ্যে ঊর্ধ্বমুখী মজুদের কারণে রফতানির অনুমোদনসহ শুল্ক কমিয়েছে দেশটির সরকার। সাদা চাল রফতানি শুল্ক ২০ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে।

ভারতের শীর্ষ চাল রফতানিকারক কোম্পানি সত্যম বলাজির নির্বাহী পরিচালক হিমাংশু আগরওয়াল বলেন, ‘অন্য চাল রফতানিকারক দেশগুলো আন্তর্জাতিক বাজারে নিজেদের হিস্যা ধরে রাখতে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান নিয়েছে। থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও পাকিস্তানের সরবরাহকারীরা ভারতের এ পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়া হিসেবে তাদের রফতানি মূল্য কমিয়ে দিয়েছেন।’

ভারতে সোমবার ৫ শতাংশ খুদযুক্ত সেদ্ধ চালের দাম ছিল টনপ্রতি ৫০০-৫১০ ডলার, গত সপ্তাহে যা ছিল ৫৩০-৫৩৬ ডলার। এছাড়া এদিন ভারতীয় ৫ শতাংশ খুদযুক্ত সাদা চালের দাম ছিল টনপ্রতি প্রায় ৪৯০ ডলার। অন্যদিকে সোমবার থাইল্যান্ডের চালের দাম ছিল টনপ্রতি ৫৪০-৫৫০ ডলার, গত সপ্তাহে যা ছিল ৫৫০-৫৬০ ডলার।

গত বছর ভারত সাদা চাল রফতানি নিষিদ্ধ ও সেদ্ধ চাল রফতানির ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর বিশ্বব্যাপী চালের দাম ১৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চে পৌঁছেছিল। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড ও মিয়ানমারের রফতানিকারকরাও সোমবার চালের দাম টনপ্রতি অন্তত ১০ ডলার কমিয়ে দিয়েছেন। সে সময় ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, পাকিস্তান ও মিয়ানমারের মতো প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলো বিশ্ববাজারে নিজেদের হিস্যা বৃদ্ধিসহ উচ্চ মূল্যনির্ধারণের সুযোগ পায়।

ওল্যাম আগ্রি ইন্ডিয়ার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট নীতিন গুপ্তা বলেন, ‘‌ব্যবসায়ীরা বর্তমানে ভারতীয় চালের সরবরাহ বৃদ্ধির সম্ভাব্য প্রভাব মূল্যায়ন করছেন। তাই চলতি সপ্তাহে বিভিন্ন দেশে চালের দাম স্থিতিশীল হবে।’

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে বিশ্বে মোট চাল রফতানির ৪০ শতাংশেরও বেশি হিস্যা ছিল ভারতের। বিশ্ব বাণিজ্যের মোট ৫ কোটি ৫৪ লাখ টনের মধ্যে ভারতের হিস্যা ছিল রেকর্ড ২ কোটি ২২ লাখ টন।

এনজে