ইবিতে গাড়ি চালককে ছাত্রলীগ কর্মীর মারধর
আপডেট: ২০১৬-১০-২৪ ১১:১৩:৩৭
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যলয়ে মিলন নামে এক গাড়ি চালককে মারধর করেছে ছাত্রলীগ কর্মীরা। রবিবার দুপুর ২ টায় বিশ্ববিদ্যলয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ ঘটনা। আহত গাড়ি চালককে বিশ্ববিদ্যলয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যলয়ের হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের সৈয়দ কামরুজ্জামান তরঙ্গ ও তার বান্ধবী কুষ্টিয়া শহর থেকে বিশ্ববিদ্যলয়ের ছাত্রীবহনকারী ভাড়া করা গাড়িতে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসে। গাড়িটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে পৌছলে গাড়ির চালক মিলন তাদেরকে নেমে যেতে বলে। এসময় কামরুজ্জামান মূল ফটকে না নেমে চালক মিলনকে বিশ্ববিদ্যলয়ের ভেতরে নামতে বলে।
তখন তাদের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে কামরুজ্জামান গাড়ি চালক মিলনকে ২০ মিনিটের মধ্যে মজা দেখাবে বলে হুমকি দেন। পরে কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের জোবায়ের আল মাহমুদ, হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের আযম, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের তৌফিকুর রহমান তুষার, বহিরাগত মোহাইমিনুল ইসলাম লামনসহ ৫-৬ জন মিলনকে ব্যাপক মারধর করে। এসময় গাড়ির সহকারী মো: রনি এগিয়ে গেলে তাকে ও মারধর করে। পরে সেখানে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা তাদের উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যলয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যায়। চিকিৎসাকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে প্রেরন করে।
গাড়ির সহকারী মো: রনি বলেন,‘ ছাত্রীদের বাসে উঠতে গেলে আমরা তাকে বাধা দেই। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের উপর হামলা করে’।
এবিষয়ে কামরুজ্জাসান তরঙ্গ বলেন, ‘আমরা কুষ্টিয়া থেকে মিথুন পরিবহনযোগে ক্যাম্পাসে আসলে তারা আমাদেরকে মূল ফটকে নামতে বলে। এসময় আমি তাদেরকে ক্যাম্পাসের ভিতরে নামতে বললে তারা আমাদেরকে তুাই তুকারি করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এতে আমি ক্ষিপ্ত হয়ে তাদেরকে মারধর করি’।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের ডাক্তার বলেন, ‘নাক মুখ দিয়ে অধিক রক্ত ক্ষরনের কারনে ড্রাইভার মিলনকে আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে প্রেরন করেছি’।
এ বিষয়ে প্রক্টর মাহবুবর রহমান বলেন, ‘দোষীদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে, পেলে তাদের ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’