সুবীর হত্যা: ২ সহপাঠীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ
প্রকাশ: ২০১৬-১০-২৪ ১৮:৫০:৩২
বেসরকারি আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সুবীর চন্দ্র দাস (২২) হত্যা মামলায় দুই সহপাঠীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। অপর দুই জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ ও একজনকে খালাস দেয়া হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ এসএম কুদ্দুস জামান জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামিরা হলেন- ফরহাদ হোসেন ওরফে সিজু ও মো. হাসান। তারা পলাতক।
যাবজ্জীবন দণ্ডাদেশ প্রাপ্তরা হলেন- সফিক আহমেদ রবিন ও শাওন ওরফে কামরুল হাসান। এছাড়া খালাস পেয়েছেন লুৎফা আক্তার ওরফে সনি।
রায় ঘোষণার আগে যাবজ্জীবন দণ্ডাদেশ প্রাপ্তদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। খালাস প্রাপ্ত আসামি জামিনে থেকে আদালতে হাজির ছিলেন।
রায়ে যাবজ্জীন দণ্ডাদেশ প্রাপ্তদের দণ্ডের অতিরিক্ত পাঁচ হাজার টাকা জারিমানা অনাদায়ে আরো এক মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী খোন্দকার আবদুল মান্নান বলেন, বিচার শুরুর পর মাত্র ছয় মাসের মধ্যে এ মামলার রায় দেয়া হলো।
জানা গেছে, মামলার বিচারকালে চার্জশিটের ২৭ জনের মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। এর আগে চলতি বছর ১১ এপ্রিল আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে। মামলাটিতে ২০১৩ সালের ২৮ অক্টোবর পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।
চার্জশিটে অভিযোগ করা হয়- রবিনের স্ত্রী সনির সঙ্গে নিহত সুবিরের অবৈধ সম্পর্ক ছিল। এর জের ধরেই হত্যাকাণ্ড ঘটে। এ মামলায় আসামি সিজু ও রবিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
পূর্ব শত্রুতার জেরে ২০১৩ সালের ১০ জানুয়ারি হাসান তার রাজধানীর নাখালপাড়ার বাসায় সুবিরকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। সে মোতাবেক ১২ জানুয়ারি সুবিরকে তাদের সাভার উপজেলা কমপ্লেক্সের সরকারি কোয়ার্টার থেকে ডেকে নিয়ে যান।
২১ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬ টার মধ্যে আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে সুবিরকে হত্যা করে লাশ বুড়িগঙ্গা নদীতে ফেলে দেন। ২১ জানুয়ারি সাভার থানাধীন ভাকুর্তা ইউনিয়নের কোটালিয়াগ্রামের হাজী মোহাম্মাদ আলীর ব্রিক ফিল্ডের পূর্বপাশের বুড়িগঙ্গা নদীর পাড় হতে সুবিরের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ওই ঘটনায় সুবিরের বাবা গৌরাঙ্গ চন্দ্র দাস সাভার থানায় এ হত্যা মামলা করেন।